কলেজছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণ, সাতজনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ২২:০১

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে গণধর্ষণের দায়ে সাতজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১৪ বছরের কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মো. মশিউর রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুমারখালি উপজেলার সাওতা উত্তরপাড় এলাকার সাহেব আলী শিহাব, জমির শেখ, মসলেম শেখ, আরিফ শেখ, মুক্তার শেখ ওরফে মোকাদ্দেস, ময়েন উদ্দিন, মিন্টু শেখ। এছাড়া উপজেলার কেসবপুর গ্রামের নাজির উদ্দিন শেখের ছেলে আরিফ শেখ ওরফে শরীফ ওরফে কলা আলীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয় আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রেমের সূত্রে কুষ্টিয়া মহিলা কলেজের এক ছাত্রীকে কুমারখালী উপজেলার কেসবাপুর গ্রামের নাজির উদ্দিন শেখের ছেলে আরিফ শেখ ডেকে নিয়ে যায়। আসামি আরিফ ওই ছাত্রীটিকে তার অপর বন্ধু উপজেলার মোবারক শেখের ছেলে মিন্টুর বাড়িতে তোলে। ঘটনার দিন একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে আসামিরা যোগসাজসে মিন্টুর বাড়ি থেকে অপরহণ করে পাশের কলা বাগানে নিয়ে গিয়ে রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ চালিয়ে সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন ১ অক্টোবর গুরুতর আহত ওই ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং একই দিনে কুমারখালী থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর এক আত্মীয় নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।

কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সরকারি কুশলী আকরাম হোসেন দুলাল জানান, কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করেন কুমারখালী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত দীর্ঘ সাক্ষী শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়।

রায় ঘোষণার সময় সকল আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। এছাড়া এজাহারভুক্ত অপর আসামি একই এলাকার শামসুল শেখ বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

(ঢাকাটাইমস/৪অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :