‘সৌদি-আমিরাতে মানবাধিকার পরিস্থিতি ভয়াবহ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:০৬ | প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:৪৫

পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা পিজিসিসিভুক্ত তিনটি দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইট ওয়াচ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটি উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি।

সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিজিসিসিভুক্ত অপর তিন দেশ কাতার, কুয়েত ও ওমান সবসময় পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়। আর সৌদি, বাহরাইন ও আমিরাত চায় উত্তেজনা ও সহিংসতা জিইয়ে রাখতে। এই তিন দেশ ইয়েমেনের ওপর চার বছর ধরে যে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তা গত কয়েক দশকে মানবিক বিপর্যয়ের অন্যতম উদাহরণ। ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করাসহ তেহরানের ওপর চাপ প্রয়োগে সহযোগিতা করা, কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি দোহার ওপর অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনা, সিরিয়া ও ইরাকসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ ইত্যাদি ওই তিন দেশের উত্তেজনা ও সহিংসতা সৃষ্টিকারী নীতির প্রমাণ।

এই তিন দেশের সরকার অন্যান্য দেশে বিশেষ করে সিরিয়া ও ইয়েমেনে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য চার ধরনের অপরাধই তারা করেছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে হিউম্যান রাইট ওয়াচ। এই চারটি অপরাধ হলো মানবতাবিরোধী অপরাধ, শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এবং ধর্ষণ। নিজ নিজ দেশেও তারা খোলাখুলি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।

বাক-স্বাধীনতা হরণ, সমালোচনাকারী ও বিক্ষোভকারীদের চরম শাস্তি দেওয়া, তাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন আদেশ দেওয়া, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ওপর জেল-জুলুম চালানোসহ আরও বহু রকমের নির্যাতন চালানো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র। বাহরাইনে তো জেল-জুলুমের মতো অন্যায়ের পাশাপাশি বিরোধীদের নাগরিকত্বও হরণ করা হয়।

বাহরাইনে ২০১১ সাল থেকে ১৭০ বিক্ষোভকারী অথবা কারাবন্দি নিহত হয়েছে। আলে-খলিফার কারাগারে বন্দি আছেন ৫ হাজারের বেশি রাজনৈতিক নেতাকর্মী। বিনা বিচারে বছরের পর বছর তারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে কারাগারে।

আলেসৌদ, আলেনাহিয়ান আর আলেখলিফাদের বিরুদ্ধে যেই দাঁড়াবে তাকেই প্রাণ অথবা নাগরিকত্ব হারাতে হবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের উপ নির্বাহী পরিচালক কেনেথ রথ মনে করেন জনগণকে ভয় দেখাতে জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।

ঢাকা টাইমস/১৯জানুয়ারি/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :