৪০ বছরের পর আইনজীবী হওয়া যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৪:০৬ | প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৪:০৫
ফাইল ছবি

দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলার রায়ে আইনজীবী হিসেবে সনদ নেয়ার ক্ষেত্রে বয়স নির্ধারণ করে দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এক্ষেত্রে ৪০ বছরের পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আর আইনজীবী হিসেবে সনদ নিতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী জানান, আদালত বলেছেন, ৪০ বছরের পর আইনজীবী হওয়া যাবে না। তাছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বছর মেয়াদী এলএলবি সনদধারীরা বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। আর জেলা জজ পর্যায় থেকে যারা অবসর নিয়েছেন তারা হাইকোর্ট বিভাগের নিচে অন্য কোনো আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ করতে পারবেন না।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আপিল বিভাগ আইনজীবী হওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবেন। যারা বিচার বিভাগ থেকে অবসর নিয়ে নিম্ন আদালতে আইন পেশায় অনুশীলনের সুযোগ আর থাকবে না। নিম্ন আদালতের বিচারকরা ইচ্ছা করলে শুধু হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করতে পারবেন। হাইকোর্ট থেকে যারা রিটায়ার করবেন তারা শুধু আপিল বিভাগে প্র্যাকটিস করতে পারবেন। আর আপিল বিভাগ থেকে যারা রিটায়ারের পর তাদের প্র্যাকটিসের কোনো সুযোগ নেই।

দুই বছর মেয়াদী কোর্স সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আপিল বিভাগ বলেছেন দুই বছরের কোর্স তারা এপ্রোভ করবেন না। তিন বছর অথবা চার বছর মেয়াদী কোর্সধারী হতে হবে। আমি বলেছিলাম আইনজীবী হওয়ার বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে। তবে এখনো পর্যন্ত আলাপ-আলোচনায় বোঝা গেছে উনারা ৪০ এর পক্ষে।

বার কাউন্সিলের সনদ গ্রহণের পরীক্ষায় দুই বছরের সনদ নিয়ে জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া রিটের রায়ে ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই এলএলবি কোর্স সম্পর্কে কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশও দেন আদালত। হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আপিল করেছিল। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে আজ দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের আপিল খারিজ করেছেন। এছাড়া এই মামলায় অন্য যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষভুক্ত হয়েছিল আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায়ের পরদিন ২৬ জুলাই দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিপত্রে বলা হয়, কোনো শিক্ষার্থী ক্ষতিপূরণ চাইলে সরকার সহায়তা করবে। শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাইতে পারবে।

(ঢাকাটাইমস/০৮ফেব্রুয়ারি/এমএবি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

বিডিনিউজ সম্পাদক খালিদীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল দুদকের

পরীমনির আবেদনে পেছাল মাদক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা: পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট, মুশফিককে অব্যাহতি

আগামী সপ্তাহ থেকে আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চে বিচারকাজ চলবে

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি

আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি

কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টারের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন

আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় চট্টগ্রামের ডিসি এসপিসহ চার জনকে হাইকোর্টে তলব

১১ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ২৯ জুলাই

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :