সুন্দরবনে আগ্নেয়াস্ত্রসহ পাঁচ বনদস্যু গ্রেপ্তার
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে বনদস্যু ‘বড় ভাই’ বাহিনীর প্রধান মোশাররফসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। এসময় বনদস্যুদের কাছ থেকে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশকিছু গুলি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে পশুর নদী সংলগ্ন জোংড়ার খাল এলাকা তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আটকরা হলেন- বাগেরহাটের মংলা উপজেলার জয়মনি গ্রামের বড় ভাই বাহিনীর প্রধান মোশাররফ কাজী (৩০), মো. এনামুল শেখ (২৮), একই উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের মো. সুমন হাওলাদার (২৫), মো. ইয়াছিন মল্লিক (৩২) ও রামপাল উপজেলার দেবিপুর গ্রামের মো. সামাদ মোল্লা (২৮)।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে তিনটি এক নলা বন্দুক, একটি দোনলা বন্দুক, একটি ২২ বোর রাইফেল, একটি কাটা রাইফেল, একটি ওয়ান স্যুটারগান ও ১৯০ টি বিভিন্ন ধরনের গুলি রয়েছে।
র্যাব-৮ এর উপঅধিনায়ক মেজর আদনান কবির বলেন, গত ১১ মাসে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরে চাঁদাবাজি, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়া ১২টি জল ও বনদস্যু বাহিনীর ১৩২ জন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তারা ২৪৭টি দেশি বিদেশি অস্ত্র, ১২ হাজার ৪৯০টি গুলিও জমা দেয়।
এর মধ্যে সম্প্রতি মোশাররফ কাজী নামে এক যুবক ৮/১০ জনকে নিয়ে বড়ভাই নামে নতুন একটি বাহিনী গড়ে তোলে।
এই বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবন ও সাগরের উপর নির্ভরশীল জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে সুন্দরবনের জোংড়ার খাল এলাকায় অবস্থান করছে এই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। এসময় তারা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে বড়ভাই বাহিনীর প্রধান মোশাররফসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে বাগেরহাটের মংলা ও খুলনার দাকোপ থানায় চাঁদাবাজি ও অপহরণের একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের খুলনার দাকোপ থানায় হস্তান্তর করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/০১জুন/প্রতিনিধি/ইএস)