সাংসদ লতিফের মানহানি মামলার নথি তলব
বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম এ লতিফের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই মামলায় বিচারিক আদালতের খারিজাদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে আদালত।
বাদীপক্ষের এক রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এ আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অজয় শংকর ভৌমিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ।
অজয় শংকর ভৌমিক বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট মামলাটি ২০৩ ধারায় খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে রিভিশন করলে জজকোর্টও তা খারিজ করে দেয়। পরে হাইকোর্টে রিভিশন করেন বাদী। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারিক আদালতের খারিজাদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে এ মামলায় বিচারিক আদালতের নথিও তলব করেছেন হাইকোর্ট।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষে নিজের নির্বাচনী এলাকায় সড়কের পাশে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত কয়েক ডজন বিলবোর্ড লাগিয়েছিলেন এম এ লতিফ। এসব বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধুর দাঁড়ানো অবস্থার একটি ছবি এবং এম এ লতিফের নামে দেয়া বক্তব্য ছিল। ছবিতে সংসদ সদস্যের ছবির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মুখ জুড়ে দেয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ওই ছবিটি বিকৃত দাবি করে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। নিজ দল আওয়ামী লীগের একাংশও লতিফের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। এ অভিযোগে সাংসদ লতিফকে আসামি করে মানহানি ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আদালতে দুটি মামলা করেন যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুদ্দিন আহমেদ। তদন্ত শেষে দুটি মামলাতেই সাংসদ লতিফকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। পরে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালত পুলিশের দেয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলা দুটি খারিজ করে দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গত ১৯ মার্চ ও মানহানি আইনের মামলায় ২ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন সাইফুদ্দিন আহমেদ। সেটিও খারিজ হয়ে যায়।
(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/এমএবি/জেবি)