শুশুকের জীবন কথা

বাংলাদেশের সব নদীতে দেখা যেত শুশুক। নদীমাতৃক বাংলাদেশের খুবই পরিচিত প্রাণী ছিল এরা। কিন্তু বর্তমানে তেমন আর দেখা মেলে না। আশঙ্কাজনকভাবে বাংলাদেশের নদীতে কমছে জলজ এই প্রাণীটির। তাই ১৯৯৬ সাল থেকে বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় নাম উঠে গেছে শুশুকের৷
নদীর বুকে কিছুক্ষণ বাদে বাদে মাথা তোলে এরা। কখনো এদের দেখা যায় আংশিক আরও কখনো দেখা যায় পুরো শরীর। আবারো ডুব দেয়। পানির নিচে জীবন এদের। বসবাস ও সন্তান প্রসব পানির নিচে। সেখানেই সন্তানকে স্তন্যপান করিয়ে বড় করে তোলে। সন্তানেরা মায়ের লেজ লেজে, পিঠে পিঠে বা পেটের তলায় তলায় ঘোরে।
মাছের মত ফুলকা নেই শুশুকের। তাই শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য এদের ঘন ঘন মাথা তুলতে হয় পানির উপর। মাথা তুলেই এরা পিচকারির মত ফুসফুসের সব বাতাস ‘ভুশ’ শব্দে ছুঁড়ে দিয়ে ফুসফুস পূর্ণ করে নেয় আবার টাটকা বাতাসে।
এদের চোখের চিহ্ন আছে বটে, কিন্তু অন্ধ। বাদুড়ের মতো চারপাশের শব্দ তরঙ্গের প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে জীবন চালায়। তবে শ্রবণশক্তি অত্যন্ত প্রবল এদের। নাকের উপর থাকে লম্বা-চিকন ফাটল, পানির তলায় থাকলে ওই ফাটল বন্ধ থাকে। নাক কানে পানি ঢুকতে পারে না।
শুশুক বা শিশুর ইংরেজি নাম গ্যানজেস রিভার। যার দৈর্ঘ্য মোট ২১০ সেমি। ওজন ৫১ থেকে ৮৯ কেজি। আয়ুকাল ১৮ থেকে ২২ বছর।
(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/জেএন/এমআর)

মন্তব্য করুন