নড়িয়ায় আরো ২০ বাড়ি পদ্মায় বিলীন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:১৬ | প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৪৫

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন চলছেই। প্রতিদিনই পদ্মার পেটে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি। শনিবার সকাল থেকে রবিবার বিকাল পর্যন্ত ২০টি পাকা ও সেমিপাকা ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সব কিছু হারিয়ে মানুষ সর্বশ্রান্ত। পদ্মার পার জুড়ে চলছে হাহাকার। প্রায় কয়েক মাস যাবৎ পদ্মা নদী ভাঙন চলছে। ভাঙনে বিলীন হয়েছে তিনটি ইউনিয়ন ও নড়িয়ার পৌর সভার ২ও ৪নং ওয়ার্ড, যার মধ্যে রয়েছে উপজেলার মোক্তাকারের চরের ইশ^র কাঠি, শেহের আলী মাদবর কান্দি, পাচু খার কান্দি, চর জাজিরা, সাহেবের চর, চর জুজিরা, ওয়াবদা, সাধুর বাজার, বাসতলা, পূব নড়িয়া, মুলফৎগঞ্জবাজার, গাজী কালুর বাড়ি, লাইফ কেয়ার ক্লিনিক, হেলথ কেয়ার, নড়িয়া ৫০ শস্যা হাসপাতাল, লস্করদের বাগান বাড়ি, দাসপাড়া, ঘোষপাড়া, শ্রী শ্রী সত্য রাম মন্দির, দাসপাড়া কালী মন্দির ও চন্ডিপুর।

এ ছাড়া প্রতিদিন নতুন নতুন ঘর বাড়ি গাছপাল ও কাঠ গাছের বাগান ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আর গত দুইদিনে নড়িয়া উপজেলার চর জুজিরা, কেদারপরু, বাসতলা, বাগান বাড়ি, উত্তর কেদারপুর, এলাকায় হুমায়ন কবির বেপারী, সোহেল দেওয়ান, আলী আকবর, সফিক, মনির সরদার, সুকুমার রায়, দুলালা হাওলাদার, সবুজ, রাজ্জক, মফেজ, মকবুল জসিম, আমির হোসেন, আরিফ দেওয়ান, ঘাবিব, নুরু ঢালী, ইদ্রিস মৌলবি, গিয়াস মোল্লাসহ অনেকের ঘর বাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়েছে।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শনিবার বিকালের পর ভাঙনের তীব্রতা কমলেও যে কোনো মুহূর্তে তা বাড়তে পারে। আতঙ্কে মানুষ ঘর বাড়ি ভেঙে অন্য জায়গায় নেয়ার জন্য ছোটাছুটি করছেন।

ইতিমধ্যে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের বেশীরভাগ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। অনাহারে-অর্ধহারে দিন কাটছে তাদের। অনেকে আবার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে, কেউ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কিংবা রাজধানী ঢাকা চলে গেছেন।

বর্তমানে ঝুঁকির রয়েছে, খাদ্য গুদাম, পোস্ট অফিস, মুলফৎগঞ্জ বাজারের ৯ দোকান, সুরেশ^র দরবার শরিফ, সুরেশ^র স্কুল এন্ড কলেজ ও সরকারি বেসরকারি স্থাপনা।

ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে একজন হলেন শরীয়তপুর জেলার প্রতিবন্ধি আহবায়ক হুমায়ন কবির। তিনি বলেন, ‘আমার ৪ কাঠা জমির বাড়ি ছিল পদ্মা নদীতে ঘর বাড়িসহ সব কিছু নিঃস্ব করে নিয়া গেছে। আমি এখন গাছ তলায় থাকি। আমার তো কিছু রইল না। পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকার জন্য কষ্ট করে সেমিপাকা ঘর করেছিলাম। বাড়ি ঘর সবই পদ্মায় নিয়ে গেল আমার তো এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই।’

ভাঙনে দুর্দশাগ্রস্ত অনেকে অভিযোগ করেছেন, তাদের জন্য যে সরকারি ত্রাণ দেয়া হয়েছে তা অপ্রতুল।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রসাশন বলছে পর্যাপ্ত ত্রাণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ত্রাণ আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্য বিতরণ করা হবে।

এদিকে আজ রবিবার দুপুরে পদ্মা নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ার। তিনি বলেছেন, সোমবারের মধ্য পদ্মা নদীর ড্রেজিং কাজ চলবে এবং পানি কমার সাথে সাথেই বেড়ি বাধেঁর কাজ শুরু করতে পারবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাশেদ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, জেলা প্রসাশক কাজী আবু তাহের, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কমর্কতা সানজিদা ইয়াসমিন শরীয়তপুর জেলার, পানি উন্নয়ন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

রিভিউয়ের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসা হবে: সিসিক মেয়র

এসএসসির ফলাফলে গোপালগঞ্জ জেলায় তৃতীয় রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ

নড়াইলে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র ও গাভীর মৃত্যু

টানা দ্বিতীয়বার ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন মিরাজুল ইসলাম

সালথায় ১২ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদককারবারি গ্রেপ্তার

সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির মানববন্ধন 

সোনারগাঁয়ে দুই কোটি টাকার ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেপ্তার

এসএসসিতে যশোর বোর্ডে সেরা সাতক্ষীরা

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :