সৈয়দপুরে ভিজিডির সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ মে ২০১৯, ১৭:১৭

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙালিপুর ইউনিয়নের ২৮ জন মহিলার ভিজিডির সঞ্চয়ের প্রায় ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী মহিলারা প্রায় পাঁচ মাস যাবত টাকা উত্তোলনের জন্য উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে বারবার ধর্ণা দিয়েও তাদের সঞ্চয় উদ্ধার করতে পারেনি। এমতাবস্থায় হতদরিদ্র ওই মহিলারা চরম হতাশায় পড়েছে। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী তাজমুন নেছা, যার কার্ড নং ৭৯। তিনি জানান, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার অধিনে হতদরিদ্র মহিলাদের জন্য ভিজিডির মাধ্যমে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। এ চাল নেয়ার জন্য নির্দিষ্ট কার্ড সংগ্রহ করা এবং প্রতিমাসে চাল নেয়ার সময় সঞ্চয় বাবদ ন্যুনতম ১০০ টাকা করে জমা দিতে হয়। এভাবে দুই বছর যাবত চাল নেয়ার সময় সঞ্চয় করলে মেয়াদ শেষে সমুদয় সঞ্চয় ও লভ্যাংশ একসাথে দেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ২৮ জন নারী তাদের সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না। এ ব্যাপারে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে বারবার ধর্না দিয়েও কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি। তারা একবার বলছেন, টাকা পাওয়া যাবে আবার বলছেন আপনাদের সঞ্চয় যে এনজিওর মাধ্যমে কালেকশন করা হয়েছিল তারা প্রকল্প শেষে চলে গেছে। তাই তাদের কাছ থেকে টাকা না পাওয়া গেলে দেয়া সম্ভব হবে না। এই পরিস্থিতিতে ২৮ জন মহিলার প্রায় ৬৫ হাজার টাকা খোয়া যাওয়ার অবস্থা দেখা দিয়েছে।

তাজমুন নেছা আরও বলেন, আমার মনে হচ্ছে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করাসহ টাকাগুলো আত্মসাতের অপচেষ্টা করছেন। তা নাহলে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের সকল মহিলা তাদের ভিজিডির সঞ্চয়ের টাকা পেলেও আমাদের ক্ষেত্রে কেন এনজিওর দোহাই দেয়া হচ্ছে। এমনকি বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের অন্যান্য গ্রুপের মহিলারাও তাদের সঞ্চয় পেয়েছে। তাই এ ব্যাপারে দ্রুত সমাধান দাবি করেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, টাকার বিষয়ে জানার জন্য মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে গেলে অফিসের কর্মচারী হামিদুর রহমান আমাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং সমাধান হলে ডেকে নিয়ে টাকা দেয়া হবে বলে অফিসে বারবার না আসার জন্য ধামকি দেন। পরে অবশ্য সঞ্চয় উত্তোলনের জন্য টাকা খরচ করতে হবে বলে জানান হামিদুর।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নুর নাহার শাহজাদীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, মূলত ওই ২৮ জন মহিলার সঞ্চয়ের টাকা কালেকশন করত ঝিনাইদহের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট এক্সিবিউটিভ সোসাইটি (ডাস্) নামের একটি এনজিও। তারা প্রকল্প শেষে চলে যাওয়ার সময় হিসেবে বেশ গড়মিল রেখে যায়। যে কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি সমাধানের। দ্রুতই এ ব্যাপারে চূাড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং মহিলারা তাদের সঞ্চয়ের টাকা অবশ্যই পাবেন।

(ঢাকাটাইমস/৯মে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

সালথায় প্রখর রোদ থেকে মুক্তি পেতে বিশেষ নামাজ আদায়

সাতক্ষীরায় কাঠবোঝাই ট্রলির চাপায় বাবা-ছেলে নিহত

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক-হেলপার নিহত

শ্রীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

দিনাজপুরে পেট্রল পাম্পে আগুন, জনতার হামলায় আহত ফায়ারের দুই কর্মীসহ ৪

চাঁদপুরে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার, আদালতে সোপর্দ

টেকনাফে টমটমচালক হত্যার রহস্য উন্মোচন, মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ৬

সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার তিন কর্মকর্তা

৬ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখছেন চাঁদপুর জেলা মৎস কর্মকর্তা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :