মাদকে বাধাই কাল হলো আ.লীগ নেতা মজিদের

সাভারে দুর্বত্তদের গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদের হত্যার পেছনে পূর্বশত্রুতা রয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছে পরিবার। এ ঘটনায় নয়জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করে দেখছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটকও করেছে।
শনিবার রাতে সাভারের পৌর এলাকার কোটবাড়িতে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত পৌর আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল মজিদ ওই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। মা-বাবা, দুই ছেলে-মেয়ে ও সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে তিনি নিজ বাড়িতেই থাকতেন।
নিহতের বোন নার্গিস বেগম অভিযোগ করে ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আব্দুল মজিদ সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক। সাত আটদিন আগে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মিকাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে মিকাইল ও তার সহযোগীদের সঙ্গে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে মিকাইল তার নিজ বাড়ির সামনে সুজাত, মনির, বাবু ও রিপনসহ ৬-৭ জনকে নিয়ে ওঁৎ পেতে থাকে। মজিদ সেখানে পৌঁছলে তাকে গুলি করে হত্যা করে মিকাইল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।’
এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন স্বপন মিয়া। তিনি বলেন, শনিবার রাতে প্রতিবেশী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদের ছায়াবীথি এলাকার সমিতির অফিসে ঋণ গ্রহণের জন্য যান তিনি। পরে রাত ১০টার দিকে তারা ফেরার পথে আব্দুল মজিদের বাড়ির প্রায় দুই-তিনশ ফুট দূরে একটি চিপা গলিতে কয়েকজন অস্ত্রধারী তাদের গতিরোধ করে। পরে পিস্তুল ঠেকিয়ে মজিদের মাথার পেছনের অংশে সন্ত্রাসীরা গুলি করে। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার ডান পায়েও গুলি করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় মজিদকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাইদুর রহমান জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পৌর আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় সন্দেভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তার পরিচয় জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এ ঘটনায় নয় জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিকালে নিহতের বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে কোটবাড়ী এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মিকাইল মোল্লাকে প্রধান আসামি করে মামলাটি (নং-৩৯) দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, মামলায় পৌরসভার কোটবাড়ী এলাকার সাবেক মেম্বার মিকাইল মোল্লাকে প্রধান আসামি করে নয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮-৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/আইআই/জেবি)

মন্তব্য করুন