শোভন-রাব্বানীর জেলে যাওয়ার অপেক্ষায় বিএনপির মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:২৮
অ- অ+

ছাত্রলীগের পদচ্যুত সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কবে জেলে যাবেন সেই অপেক্ষা করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বলেছেন, ‘দুই কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়া যদি কারাবন্দি থাকেন তাহলে পত্রিকা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের কথা অনুযায়ী ৮৬ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে শোভন-রাব্বানী কবে জেলে যাবেন?’

বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মোশাররফ বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে বহিষ্কার করা হয়েছে। আবার সরকারি দলের লোকেরা বলছেন, ছাত্রলীগ থেকেও যুবলীগের মধ্যে বড় দুর্নীতি- টেন্ডারবাজি আছে। এমন অভিযোগও আছে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অপসারণের সঙ্গেও নাকি অনেকে জড়িত রয়েছেন।’

‘আপনারা দেখেছেন বালিশ দুর্নীতি, পর্দা দুর্নীতি, বই দুর্নীতি। পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, কোনো একটা প্রতিষ্ঠান ১০ কোটি টাকার সরঞ্জাম পাহারা দেয়ার জন্য ৪৫ কোটি টাকা খরচ করেছে। এভাবে দেশ চলছে।’

মোশাররফ বলেন, ‘যে মামলায় বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে সে মামলার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততাই নেই। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। যে দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে সেই টাকা আজ ছয় কোটিতে পরিণত হয়েছে। দুই কোটির জায়গায় ছয় কোটি হলে আত্মসাৎ করা হলো কীভাবে?’

‘সরকারের উদ্দেশ্য ছিল খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে রেখে আবারও ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করে অলিখিত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু আমরা বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নির্বাচনে গিয়েছি। তখন আমরা দেখেছি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ধানের শীষে ভোট দিতে মানুষ কতটা প্রস্তুত ছিল, কতটা ব্যাকুল ছিল। এ কথা জানতে পেরে সরকার ৩০ ডিসেম্বরের ভোট জনগণের হাতে দিতে সাহস পায়নি। তাই ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট ডাকাতি হয়েছে, জনগণের ভোট ডাকাতি করে তারা আজ গায়ের জোরে সরকার পরিচালনা করছে।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সংকট হচ্ছে গণতন্ত্রহীনতা। বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থাকার কারণেই বাংলাদেশকে গণতন্ত্রহীন করে রাখা সম্ভব হয়েছে। দেশে অলিখিত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। অলিখিত বাকশালকে পাকাপোক্ত করার জন্য বেগম জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা চাই বেগম জিয়া দ্রুত মুক্তি পাক, তিনি মুক্তি না পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সভায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/বিইউ/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গোপালগঞ্জ ইস্যুতে গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে সহযোগিতার আহ্বান সেনাবাহিনীর
যাত্রাবাড়ীতে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার, পিকআপ জব্দ
নির্বাচনকে ব্যাহত করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি পরিকল্পিত: বিএনপি
কক্সবাজারের যৌথ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১ জন আটক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা