বাংলাদেশকে বাজারের জায়গা বানিয়েছে ভারত: সুলতানা কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:২৮
সুলতানা কামাল (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশকে ভারত একটা বাজারের জায়গা বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। বলেন, ‘ভারত আমাদের পাশে না থাকলে স্বাধীনতা যুদ্ধ যেভাবে শেষ হয়েছে সেভাবে শেষ করা সম্ভব হতো না। কিন্তু কথা হলো, সেটার পরিবর্তে আজকে বাংলাদেশকে তারা (ভারত) একটা বাজারের জায়গা বানিয়েছে।’

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলানায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সুলতানা কামাল।

ইউনেস্কোর ৪৩তম সভার সুপারিশ বাস্তবায়ন, সুন্দরবনের পাশে রামপালসহ সব শিল্প নির্মাণ প্রক্রিয়া বন্ধ এবং সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা সম্পন্ন করার দাবিতে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে।

সুলতানা কামাল বলেন, ‘শিল্প কারখানার জায়গা বানিয়ে তারা (ভারত) নিজেদের স্বার্থ গুছিয়ে নেবে, এ বিষয়টা কিন্তু আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মানবাধিকারকর্মী হিসেবে আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এটা সবচেয়ে সস্তা শ্রমের দেশ। যেনতেনভাবে মানুষকে তাদের জায়গা জমি থেকে উচ্ছেদ করে রামপালের মতো প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের এই বিষয়ে দায়িত্ব আছে নাড়াচাড়া দেওয়ার।’

লিখিত বক্তব্যে সুলতানা কামাল বলেন, ‘সরকার ভুল অবস্থান থেকে সরে এসে রামপাল প্রকল্প বাতিল করুক। বনবিরোধী সব স্থাপনা উৎখাত করে প্রাকৃতিক চরিত্রকে সংরক্ষণ করে বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়ায় কয়লার বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হোক।’

রামপাল প্রকল্প নির্মাতা ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি তাদের নিজ দেশে সব কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থগিত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইকোনমিক টাইমস পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনটিপিসি আগামী পাঁচ বছর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে না। কারণ তারা কার্বন তৈরির দায় কমাতে চায়। বরং এনটিপিসি গুজরাটে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সৌর শক্তি পার্ক তৈরি করতে ২৫ হাজার কোটি রুপি খরচ করছে।’

‘অথচ এই প্রতিষ্ঠান প্রবল গণআপত্তির মুখে বাংলাদেশে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরিতে পিছপা হচ্ছে না। এটা তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ডাবল স্ট্যান্ড (দ্বৈতনীতি) আচরণ।’

‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ইউনেস্কোর পর্যবেক্ষণ দল সরেজমিনে দেখতে সুন্দরবনে আসবে। আর বাংলাদেশকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কৃতকাজের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। আগামী বছর এই সময় প্রতিবেদন মূল্যায়ন করা হবে।’

সুলাতানা কামাল বলেন, ‘সেই সভায় সরকারের কাজে কমিটি সন্তুষ্ট না হলে আগামী বছরই সুন্দরবন আবারও বিপদাপন্ন ঐতিহ্য তালিকায় চলে যেতে পারে যা দেশ ও জনগণের জন্য অযোগ্যতা, ব্যর্থতা, দুঃখজনক, লজ্জার ও অপমানের একটি বিষয় হবে।’

অবিলম্বে সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলজুড়ে সব কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করে বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, কমিটির সদস্য রুহীন হোসেন প্রিন্স ও শরীফ জামিল প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/০৫অক্টোবর/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করেছে নিম্নচাপ, সমুদ্র বন্দরে সতর্ক সংকেত নেই

শিগগির সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, শিক্ষাক্রমে আপাতত পুরনো বই ও পরীক্ষা: শিক্ষা উপদেষ্টা

বন্যা মোকাবেলায় ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়াল সশস্ত্র বাহিনী

৮ হাজার কোটি টাকার কেন্দ্রে বিদ্যুৎ নেই, এটাই উন্নয়নের বিভ্রান্তি: জ্বালানি উপদেষ্টা

উজানের দেশগুলোর কাছে বন্যা পূর্বাভাসের তথ্য চাওয়া হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা

সিএমএইচগুলোতে চিকিৎসাধীন ছাত্রদের মধ্যে বাড়ি ফিরেছে ৬১০ জন

শিগগির সরকারের রূপরেখা প্রকাশ

পুলিশের লুট হওয়া আরও ৫৬৮ অস্ত্র উদ্ধার

জাতিসংঘে আইসিপিপিইডিতে প্রবেশাধিকারের দলিল জমা দিলো বাংলাদেশ

বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :