আবরার হত্যায় এবার মনিরের দায় স্বীকার
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী মো. মনিরুজ্জামান মনির আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী তার স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৯ অক্টোবর মনিরসহ তিন আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে এই জবানবন্দি দিলেন মনির।
এনিয়ে মামলাটিতে ছয়জন আসামি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন। অপর পাঁচজন হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ও শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান।
এদিকে এদিন মনিরের সঙ্গে রিমান্ডে যাওয়া আকাশ হোসেন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে একই আদালত।
এছাড়া একই সঙ্গে রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামি সাসছুল আরেফিন রাফাতের পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে এদিন ফের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
আসামি পক্ষে মেহেদী হাসান রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জামিনের আবেদনে বলেন, আসামি রিফাতকে সেখানে ডেকে নেয়া হয়েছিল। সে মারধরের সঙ্গে জড়িত নয়। ডেকে নেয়ায় তাকে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে। সে কোনো দলও করে না। তাই পুনরায় রিমান্ডের কোনো প্রয়োজন নেই। একই বিচারক শুনানি শেষে ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলাটিতে এর আগে রিমান্ড শেষে কারাগরে রয়েছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও মিজানুর রহমান।
রিমান্ডে রয়েছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, বুয়েটের শিক্ষার্থী শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা ও হোসেন মোহাম্মাদ তোহা।
একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চকবাজার থানায়।
(ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/আরজেড/জেবি)