ধামইরহাটে হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত মানুষ
তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার মানুষের জীবনযাত্রা। ঘন কুয়াশার আবরণে সূর্য ঢাকা পড়ে আছে দিনভর। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দিনভর দেখা মিলছে না সূর্যের। রাত নামতেই বেড়ে যাচ্ছে হিমেল বাতাসের গতি। শীতের তীব্রতায় রাস্তাঘাটে কমে গেছে পথচারীর আনাগোনা। হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে সকল যানবাহন। সব মিলিয়ে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধামইরহাটে কয়েকদিন ধরে ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা উঠানামা করলেও চার দিন আগে হঠাৎ করেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। গত দুদিন ধরে ধামইরহাটে তাপমাত্রা ১০-১২ ডিগ্রির ঘরে ওঠা-নামা করছে। কয়েকদিন ধরে চলা হাড়কাঁপানো শীতের তীব্রতায় প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে ছিন্নমূল মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে ভুগতে শুরু করেছে শিশু, বৃদ্ধসহ নিম্ন আয়ের কর্মজীবী মানুষ।
ধামইরহাট উপজেলার মালাহার গ্রামের দিনমজুর মোসলেম আলী জানান, ‘আমরা গরিব, কাজ করে আমাদের সংসার চালাতে হয়। এমন বৈরী আবহাওয়ায় প্রচণ্ড ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় কাজ তো দূরের কথা ঘর থেকে বের হতে পারছি না।’
গত চারদিন ধরে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে এ উপজেলায়। হিমেল বাতাস কুয়াশা ও প্রচণ্ড শীতের কারণে সরিষা, আলুসহ বীজতলায় বোরো ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
(ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/এলএ)