শীতে নাকাল দিনাজপুরে জনজীবন
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত উত্তরের জেলা দিনাজপুরে শীতের প্রকোপে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীতে দিন-মুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। তাপমাত্রা কিছুটা পাড়লেও কমছেনা শীতের প্রকোপ। শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় রবিবার দিনাজপুরে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আদ্রতা ৯৫ শতাংশ। শীতে সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বয়স্ক মানুষ। ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা।
হঠাৎ শীতে শ্রমজীবী মানষের বেড়েছে চরম দুর্দশা। ঠান্ডার কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না তারা । হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। দিন খেটে খাওয়া মানুষগুলো শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে শহরমুখী হলেও কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে কাজে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না।
এদিকে সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। অসহায়, বাস্তুহারা ও বস্ত্রহীন মানুষগুলো পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও রাস্তায় যানবাহন চালাতে হচ্ছে হেড লাইট জ্বালিয়ে।
দিনাজপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য ইতোমধ্যে কিছু কম্বল দেয়া শুরু হয়েছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আরও ৮০ হাজার শীতবস্ত্র চেয়ে জরুরি বার্তা পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি ও ১৯৪৮ সালে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত বছর শীত মৌসুমে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২৫ ডিসেম্বেরের পর দিনাজপুরের উপর দিয়ে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসবে বলে জানিয়েছে তিনি।
ঢাকাটাইমস/২২ডিসেম্বর/ইএস