ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন হলে প্রতি বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:৩৫

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বা ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন হলে প্রতি বছর ১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বাড়বে। আর না হলে প্রবৃদ্ধি কমবে বছরে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের আয়োজনে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেমিনারে ‘ইন্টিগ্রেটেড এ্যাসেসমেন্ট ফর দ্য বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ শীর্ষক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের আয়োজনে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক জামিনুল রেজা চৌধুরী। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনার সঞ্চালনা করেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড.শামসুল আলম। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মনসুর রহমান।

সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে ধাপে ধাপে পরিকল্পনা রয়েছে তা সোভিয়েতরাও করতে পারেনি। যেকোন পরিকল্পনাই করা হোক না কেন তার মূলেই রয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়ন।

তিনি বলেন, শত বছরের এই পরিকল্পনা হচ্ছে একটি আমব্রেলা প্রকল্প। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) মাধ্যমে। প্রকল্প ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। এটা আবেগের বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রীও সবসময় বলেন, চলুন নিজের কাজটা নিজেই করি। নিজের মেধার উপর দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন না হলে ২০২৭ সালের মধ্যে অতিদারিদ্র্য শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা সম্ভব নয়। দেশের ১৩৯টি বাঁধ সংরক্ষণের অভাবে প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধগুলো চার মিটার উচুঁ করে তৈরি হলেও সংস্কারের অভাবে এখন দুই থেকে আড়াই মিটার রয়েছে। এসব বাঁধ অন্তত ছয় মিটার উঁচু করে সংষ্কার করতে হবে। যদি এসব বাঁধ সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় তাহলে মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বন্যা ও উপকূলীয় অঞ্চল লবনাক্ত মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষা করতে হলে বনায়নের মাধ্যমে সি-ওয়াল তৈরি করতে হবে। এতে ঝূর্ণিঝড়ের প্রভাব রক্ষা করা সম্ভব হবে। যেকোনোভাবে হোক সবুজ বেষ্টনি তৈরি করতে হবে। এছাড়া খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের জন্য বাঁধ সংস্কারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় স্লুইস গেট তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে নীতি ও বিজ্ঞানের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।

জামিনুল রেজা চৌধুরী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষায় বাঁধ সংস্কারের বিকল্প নেই। যদিও ব্যয়বহুল বিষয়। তারপরও এর বিকল্পও কিছু নেই। সুন্দরবন রক্ষা করতে হবে। এতে ঘূর্ণিঝড় প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সাইক্লোন সেল্টার মাষ্টার প্লান তৈরি হচ্ছে। মানুষেল জীবন রক্ষায় এসব সেল্টারের সংস্কার জরুরী।

ড. শামসুল আলম বলেন, সমন্বিতভাবেই ডেল্টা প্লান বাস্তবায়ন করতে হবে। ডেল্টা প্লানের প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২১টি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১ হাজার ৫৬৪টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ২৪৬টিই হচ্ছে ডেল্টা প্লান সংশ্লিষ্ট। এগুলো বরাদ্দ রয়েছে এডিপির শূণ্য দশমিক ৮৬ শতাংশ বরাদ্দ রয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ৮০টি প্রকল্পের মধ্যে গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্পটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।

ঢাকা টাইমস/ জেআর/ আরএ/ ১৬ জানুয়ারি ২০

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে জনতা ব্যাংকের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :