মধ্যরাতে চবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষে সংঘর্ষে আহত ২০

চবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২০, ১৩:৫৭ | প্রকাশিত : ০৫ মার্চ ২০২০, ১৩:৪৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ। উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ‘বিজয়’ ও ‘সিক্সটি নাইন’ এর কর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার মারামারিতে জড়ায় ছাত্রলীগের তিন উপপক্ষ ‘সিক্সটি নাইন’, ‘কনকর্ড’ ও ‘বিজয়’। এর জের ধরে গতকাল বিকালে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করলেও সংঘর্ষের সমাধান হয়নি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণাধীন বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোর মধ্যে ‘বিজয়’ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসানের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। বিজয়ের নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ।

আর সিক্সটি নাইনের নেতৃত্বে আছেন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ওরফে টিপু এবং কনকর্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার জেরে গভীর রাতে এফ রহমান হলে সংঘর্ষ বাধে ‘বিজয়’ ও ‘সিক্সটি নাইন’পক্ষের নেতাকর্মীরা। এসময় ঢিল ছোড়ার পাশাপাশি ককটেল বিস্ফারণের শব্দও শোনা যায়।

সংঘর্ষের সময় হলের বারান্দাসহ আশপাশের লাইট, বিভিন্ন কক্ষের দরজা-জানালা, আসবাব ভাঙচুর করে দুই পক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, সন্ধ্যায় ‘বিজয়’ এর কর্মীরা আমাদের কর্মীদের হল থেকে বের করে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বারবার অনুরোধ করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ রাতে তাদের কর্মীরা হলে উঠতে গেলে ‘বিজয়’ এর কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায় বলে দাবি চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের এই নেতার।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ‘বিজয়’ গ্রুপের নেতা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, “রাতে ইকবাল হোসেন টিপুর নেতৃত্বে ‘শিবির স্টাইলে’ সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।” হামলায় তাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব জানান, রাতে সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে নয়জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, হিংসার রাজনীতির কারণে বারবার সংঘর্ষে জড়াচ্ছে ছাত্রলীগ। এ নিয়ে গতকালও সংগঠটির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আর উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে আটকৃতদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ঢাকাটাইমস/৫মার্চ/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বন্দর নগরী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :