টাকা পাচারের মামলায় হুদার স্ত্রী-কন্যার জামিন

পৌনে সাত কোটি টাকা যুক্তরাজ্যে পাচারের দুই মামলায় সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার স্ত্রী ও দুই কন্যা জামিন পেয়েছেন। তারা হলেন, ব্যারিস্টার সিগমা হুদা ও দুই কন্যা শ্রাবন্তী আমিনা হুদা এবং অন্তরা সেলিমা হুদা।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করেন।
বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী এবং দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানি করেন।
আইনজীবী সমাজী জানান, আসামিরা হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করেন। আদালত আমাদের ও দুদকের পক্ষের প্রসিকিউটরের শুনানির পর জামিন মঞ্জুর করেছেন।
চলতি বছর ৯ জানুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন।
দুই মামলাতেই সিগমা হুদাকে আসামি করা হলেও মেয়েদের পৃথক মামলায় আসামি দেখানো হয়। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মামলায় জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে প্রায় পৌনে সাত কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিগমা হুদা ও অন্তরা সেলিমা হুদার মামলার এজাহারে বলা হয়, তারা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তিন লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড স্টার্লিংয়ের সমান অর্থাৎ চার কোটি ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেন। এ অর্থ দিয়ে ২০০৩ সালের ২৬ জুন লন্ডনের ওয়াটার গার্ডেনসের বারউড প্যালেসে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
সিগমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদার বিরুদ্ধে অপর মামলার এজাহারে বলা হয়, তারা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত দুই লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড স্টার্লিংয়ের সমপরিমাণ অর্থাৎ দুই কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করে যুক্তরাজ্যে পাচার করেন। ওই টাকা দিয়ে তারা ২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর লন্ডনের হেলনি কোর্টের ডেনহাম রোডে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার দায়েরকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদ বিবরণীতে ফ্ল্যাট ক্রয়ের তথ্য গোপন করেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/আরজেড/জেবি)

মন্তব্য করুন