টাঙ্গাইলে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণ’
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পারিবারিকভাবে মীমাংসায় ব্যর্থ হলে ওই ছাত্রীর বাবা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে সোমবার বিকালে মামলা করেছেন। অভিযোগের পর রাতে অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পলশিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে ও দশম শ্রেণির ছাত্র রানা বাবু (১৬), আব্দুল খালেকের ছেলে ও ট্রাকচালক জাকারিয়া (২০)। এদেরকে দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলায় অভিযুক্ত আরো দুজন পলাতক রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। পলাতকরা হলেন, উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের একই গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে জীবন (২৩) ও বাদশা মিয়ার ছেলে সুজন (২০)।
মামলা বিবরণে জানা গেছে, রানা বাবু ওই ছাত্রীর ক্লাসমেট হওয়ায় স্কুলে আসা যাওয়ার সময় নানাভাবে উত্ত্যক্ত ও মোবাইল ফোনে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রানার প্রস্তাবে রাজি না হলে গত রবিবার রাতে ফোন করে বাইরে যেতে বলে। বের না হলে রানা বাবু তার অপর তিনজন বন্ধু মিলে ওই ছাত্রীর বাড়ির পাশে ওঁৎ পেতে থাকে। প্রকৃতির ডাকে ছাত্রী ঘর থেকে বের হলে ওড়না দিয়ে মুখ চেপে ধরে বাড়ির ঝোঁপঝাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রী চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। পলাতক রয়েছে আরো দুজন। এদেরকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এদিকে ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/কেএম)