যশোরে ওসির স্বামী বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল ২০২০, ১৯:১০
অ- অ+

যশোর জেনারেল হাসপাতালে আহসানুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি যিনি থানা পুলিশের ওসির স্বামী বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের করোনারী ইউনিটে তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আহসানুল ইসলাম পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকদিয়া গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে। তার স্ত্রী রোকসানা খাতুন নড়াইলের নড়াগতি থানার ওসি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন এবং যশোর কোতয়ালি মডেল থানার স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করেন। আহসানুল ইসলাম বেনাপোল রেলওয়েতে কর্মরত ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আহসানুল ইসলাম বুকে ব্যথা করছে বলে তার স্ত্রী রোকসানা খাতুনকে জানান। এ সময় তার স্ত্রী যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল ক) গোলাম রব্বানীকে জানান। এ সময় তিনি তার চিকিৎসার জন্য কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। থানার এসআই আফম নিরুজ্জামানের মাধ্যমে আহসানুল ইসলামকে সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এম আব্দুর রশিদ তাকে করোনারী ইউনিটে পাঠান। সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে করোনারী ইউনিটে ভর্তি করে ডাক্তার সোহানুর রহমান ৮টা ২০ মিনিটে আহসানকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোহানুর রহমান জানান, আহসানুল ইসলামকে হাসপাতালের বিছানায় আনার পর অস্থিরতার কারণে ইসিজি করা সম্ভব হয়নি। তারপর হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধ দেয়া হয়। তাছাড়া তার স্বজনরা বাইরে থেকে ওষুধ আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।

ওসি রোকসানা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ সদস্য হিসেবে আমি জনগণকে সহায়তা করে আসছি। আজ আমার স্বামী বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন। তিনি হাসপাতালের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ করেন।

করোনারী ইউনিটের ডাক্তার এসোসিয়েট প্রফেসর রফিকুজ্জামান জানান, আহসানুল ইসলামের অস্থিরতার কারণে ইসিজি করা সম্ভব হয়নি। তারপর ডাক্তার তাকে ওষুধ দিলেও তা আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। বিনা চিকিৎসায় মারা যায়নি। যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলিপ কুমার বলেন, নিহতের স্বজনরা ওষুধ আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনার পর যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) গোলাম রব্বানী, কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালের ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

তবে স্থানীয়রা ও রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করছেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলিপ কুমার রায়ের দায়িত্বহীনতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের চিকিৎসার ব্যাপারে গাফলতি চলছে৷

(ঢাকাটাইমস/৯এপ্রিল/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক হাসান মেহেদী হত্যা মামলায় সাবেক এমপি মনু গ্রেপ্তার
ব্লকেড সরিয়ে নিন, রাজপথে অবস্থান করুন: নাহিদ
গোপালগঞ্জের ঘটনায় প্রমাণিত ফ্যাসিবাদী শক্তি নির্মল হয়নি: মোস্তফা জামাল হায়দার
গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হামলা, ভাঙচুর
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা