রাজৈরে করোনা জয়ী মা-ছেলে বাড়ি ফিরল
মাদারীপুরের রাজৈরে নভেল করোনাভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত সুমন করোনাকে জয় করে গত রবিবার দুপুরে বাড়ি যান। এবার বৃহস্পতিবার দুপুরে তার স্ত্রী বৈশাখী (২২) ও তার শিশু সন্তান ইসমাইলও (৩) করোনাভাইরাসকে পরাস্ত করে বাড়ি ফিরে গেছে।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কোদালিয়া বাজিতপুর গ্রামের সুমন মুন্সী ঢাকার কদমতলীতে একটি ফলের দোকানের কর্মী ছিলেন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তিনি ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি এলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ দেখা দেয়। এরপর রাজৈর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুমনের পরীক্ষা করে তার শরীরে ৯ এপ্রিল ভাইরাসের উপস্থিতি পায়। পরে ১১ এপ্রিল তার স্ত্রী-সন্তানের নমুনা পরীক্ষা করলে সন্তানের ভাইরাস শনাক্ত হয়। দীর্ঘ দিন হাসাপাতালের আইসোলেশন থেকে চিকিৎসা নেয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২৫ এপ্রিল নতুন করে তিন জনেরই নমুনা ঢাকা পাঠায় । এবারের রিপোর্টে সুমন ও তার সন্তানের নেগেটিভ ও স্ত্রীর পজেটিভ আসে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল জানান, তিন বছরের শিশু ইসমাইল মাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। এ কারণে করোনায় আক্রান্ত মা বৈশাখী বেগমের কাছেই শিশুটি থেকে যায়। পুনরায় নমুনা ঢাকায় পাঠানোর পর বুধবার বিকালে বৈশাখীর করোনা রির্পোট নেগেটিভ আসায় সব বিধি মেনে মা ও ছেলেকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়।
রাজৈরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই নারীসহ সাতজনের মধ্যে চারজনই করোনা জয় করে বাড়ি ফিরে গেলো। অন্যজন একই উপজেলার একই এলাকার রাজিবকে (২২) রাজৈর হাসপাতালে আইসোলেশন কক্ষের সংকট থাকায় মাদারীপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। তিনিও বৃহস্পতিবার করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি গেলেন।
সুমন জানান, হাসপাতালের ডাক্তাররা আমার এবং আমার স্ত্রী ও সন্তানের জন্য খাবার, ওষুধ, পথ্য পোষাক- এমনকি শিশু সন্তানকে শান্ত রাখতে খেলনা পর্যন্ত কিনে দিয়েছেন। আমি চার দিন আগেই সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছি। আজ আমার স্ত্রী ও শিশু সন্তান সুস্থ হয়ে বাড়ি যাচ্ছে। আমি আনন্দিত। তবে কাজ বন্ধ থাকায় আয়ও বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিন বলেন, করোনায় আক্রান্ত একই পরিবরের তিনজনই করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। তাদের আরো ১৪ দিন হোম কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে । তাদের এ ১৪ দিনের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/৭মে/কেএম)