ব্রিটেন ও ইইউর মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ মে ২০২০, ১৪:০৯
অ- অ+

ব্রেক্সিট-পরবর্তী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থির করতে তৃতীয় দফার আলোচনাও ব্যর্থ হবার পর ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে৷ কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বদলে খোলা চিঠির মাধ্যমে একে অপরকে দোষারোপ করছে দুই পক্ষ৷

ব্রিটেনের ব্রেক্সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডেভিড ফ্রস্ট এক চিঠিতে ইইউর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এনেছেন৷ ইইউর প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে পালটা চিঠিতে ব্রিটেনকে এমন মনোভাব সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ খবর ডয়চে ভেলের।

ব্রিটেন মঙ্গলবার ইইউর বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে বাড়তি, ভারসাম্যহীন ও অভূতপূর্ব'দাবির অভিযোগ করেছিল৷ ডেভিড ফ্রস্ট এই চিঠির সঙ্গে চুক্তির এক খসড়া প্রকাশ করেন৷ তিনি এ প্রসঙ্গে অন্যান্য দেশের সঙ্গে ইইউর বাণিজ্য চুক্তির কিছু অংশ তুলে ধরে দাবি করেন, যে ইইউ ব্রিটেনকে একই রকম সুবিধা দিতে রাজি নয়৷ ব্রিটেন কেন একইরকম সুবিধা পাবার যোগ্য নয়, সেই প্রশ্ন তোলেন ফ্রস্ট৷ তার মতে, দুই ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সহযোগীর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য সম্পর্কের বদলে নিম্ন মানের এক বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব রেখেছে ইইউ৷

ইইউ শুরু থেকেই ভৌগলিক অবস্থানের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের কাঠামোর কিছু পূর্বশর্ত স্থির করেছে৷ ব্রিটেন ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হবার কারণে ইইউ নিজস্ব স্বার্থ রক্ষা করতে কিছু বাড়তি রক্ষাকবচ স্থির করেছে৷

বার্নিয়ে তার চিঠিতে ব্রিটেনের আচরণের কড়া সমালোচনা করেন৷ তার মতে, আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মেটানোর বদলে চিঠির মাধ্যমে তর্জনগর্জন করলে আখেরে কোনো লাভ হবে না৷ বিশেষ করে ফ্রস্ট যে সুরে অভিযোগ পেশ করেছেন, তা পারস্পরিক আস্থা ও গঠনমূলক মনোভাবের পরিপন্থি৷

বার্নিয়ে তিন পৃষ্ঠার চিঠিতে ফ্রস্টের প্রতিটি অভিযোগের আলাদা করে জবাব দেন৷ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিটেনকে নিজ দায়িত্বে বিভিন্ন সম্ভাবনার মধ্যে কোনো একটিকে বেছে নিতে হবে৷ অন্য দেশ যে সব সুবিধা পেয়েছে, ব্রিটেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেসব সুবিধার দাবি করতে পারে না৷ বার্নিয়ে আরও মনে করিয়ে দেন যে, ব্রিটেন ও ইইউর শীর্ষ নেতারা ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রূপরেখা হিসেবে যে রাজনৈতিক ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করেছিলেন, ইইউ পুরোপুরি তার ভিত্তিতেই ব্রিটেনের সঙ্গে আলোচনা করছে৷

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বৈষম্য এড়ানোর বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ প্রকট হয়ে উঠছে৷ ব্রিটেন ইইউ ত্যাগ করার প্রধান সুবিধা হিসেবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে স্বাধীনভাবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ইইউর সঙ্গেও নিজস্ব সুবিধা অনুযায়ী বাণিজ্যিক চুক্তি চায় বরিস জনসনের সরকার৷

অন্যদিকে ইইউ বাণিজ্য চুক্তির শর্ত হিসেবে নিজস্ব অভ্যন্তরীণ বাজার অটুট রাখতে কিছু রক্ষাকবচ নিশ্চিত করতে চাইছে৷ ইইউর বাজারের নাগাল পেতে হলে ব্রিটেনকে শ্রম, পরিবেশ ইত্যাদি মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এবং বেশ কিছু বিধিনিয়মও স্বীকার করতে হবে৷ অর্থাৎ ব্রিটেন দুই নৌকায় পা রেখে এগোতে পারবে না, এমনটাই নিশ্চিত করতে চাইছে ইইউ৷

চলতি বছর দুই পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া না হলে ২০২১ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ব্রিটেন বিশেষ সুবিধা হারিয়ে বিশ্বের বাকি দেশের মতো ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য করতে বাধ্য হবে৷

ঢাকা টাইমস/২৩মে/একে

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কলাবাগানে ৪০ কেজি গাঁজাসহ কারবারি গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দৃষ্টিনন্দন-পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক শাটল গাড়ির যাত্রা শুরু
কাকরাইল মোড়ে বাসের পর বাসে আসছেন জবি শিক্ষার্থীরা, চলছে অবস্থান
ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব দিতে নগরভবনের ভেতরে অবস্থান নিয়েছে হাজারো নগরবাসী
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা