৭৮ বছর বয়সেও ভাগ্যে জোটেনি বয়স্কভাতার কার্ড

খোরশেদ আলম, শেরপুর
| আপডেট : ১৫ জুন ২০২০, ১২:৪৯ | প্রকাশিত : ১৫ জুন ২০২০, ১২:৩৯

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের হাসলিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হাছেন আলী। অন্যের বাড়িতে কাজ করে পেট চলত তার। বয়স হয়ে যাওয়ায় এখ তাও করতে পারেন না। ফলে দিন কাটে অনাহারে-অর্ধাহারে। গ্রামের লোকজন দয়া করে কেউ কিছু দিলে তাই খেয়ে দিন কাটে তার। এদিকে ৭৮ বছর বয়সেও নি:সন্তান এই বৃদ্ধের ভাগ্যে জুটেনি বয়স্কভাতার কার্ড।

গ্রামবাসী জানান, হাসেন আলী মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় একাধিক বিয়ে করলেও তাকে রেখে চলে গেছে সবাই। এক শতাংশ জমি ছাড়া সহায় সম্বল বলতে তার কিছুই নেই। সেখানে গ্রামবাসীরা মিলে ছোট্ট একটি ঘর করে মাথা গুজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে ওই ঘরে। বয়স বাড়ায় এখন কর্মহীন তিনি। গ্রামের লোকজন দয়া করে কেউ কিছু দিলে তাই খেয়ে দিন কাটে তার। বৃদ্ধের থাকার ঘরে ছিলনা একটি চকি। স্থানীয় সাংবাদিক তরিখুল আলম ছোট্ট একটি কাঠের চকি ও ১০ কেজি চাল কিনে দেন তাকে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকার অনেকেই সরকারি সহযোগিতা পেলেও হাসেন আলীর ভাগ্যে জুটেনি।

বয়স্কভাতার কার্ডের ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে যাওয়া হয়েছিল কিনা জানতে চাওয়া হলে হাসেন আলী বলেন, ‘গত ১০ বছরে বহুবার গিয়েছি। কেউ কার্ড দেওয়ার বিষয়ে না করেননি। পরিচয়পত্রের ফটোকপিও নিয়েছেন তারা। কিন্তু আজ পর্যন্ত একটি বয়স্কভাতার কার্ড কেউ দেননি।’

এ বিষসয়ে মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা বলেন, ‘হাসেন আলী নামে কাউকে আমি চিনি না।’

ঢাকাটাইমস/১৫জুন/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :