কুমিল্লায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ ৪০ পরিবারের

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ জুন ২০২০, ২২:১১

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে এলাকায় অন্তত ৪০টি পরিবারের উপর হামলা, মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর একটি রেস্তোরায় ভুক্তভোগী ১১টি পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাইকচাইল গ্রামের বাসিন্দা শাহ জাহান পাটোয়ারী।

শাহ জাহান পাটোয়ারী বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উদ্বোধনের সময় তার উপর হামলা চালায় ইকবাল ও তার বাহিনী।

তিনি বলেন, একই গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল মাহমুদ ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট যুবদলে যোগ দিলেও এক বছর পরেই আবার যুবলীগে যোগ দিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের পদ বাগিয়ে নেন। দলীয় পদ পেয়ে তার নেতৃত্বে এলাকার আওয়ামী লীগ-যুব লীগের পরিবার এবং এলাকার নিরীহ লোকজনের উপর হামলা, মারধর, বাড়ি-ঘর ভাংচুর, আগুন দেয়া, হিন্দু পরিবারের জমি দখল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর, লুটসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি আজাদ হোসেন বলেন, যুবলীগ নেতা ইকবাল তাকে একাধিকবার গুলি চালিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। পরে ইকবালের লোকজন তাকে মারধর করে পা ভেঙে ফেলে।

নুরুল ইসলাম নামে আরো একজনের অভিযোগ, ইকবাল তার ছেলে ইসমাইলকে দিয়ে মাদক ব্যবসা করালেও তিনি বাবা হিসেবে তাকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন।

যুবলীগ নেতা প্রবাসী নজরুল ইসলাম বলেন, কিছু দিন আগে ইকবাল গভীর রাতে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী সালাহ উদ্দিন বলেন, গত বছরের ১২ অক্টোবর মধ্যরাতে যুবলীগ নেতা ইকবালের নির্দেশে পুলিশ তাকে আটক করে চোখ বেঁধে ব্যাপক নির্যাতন চালায় এবং ইকবালের বিরুদ্ধে এলাকায় কোনো অবস্থান না নিতে হুমকি দেয়। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সদস্য মমতাজ মিয়াসহ তার তিনজন ছেলের উপর হামলা ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়। রবিউল নামে আরেকজন অভিযোগ করেন, ইকবাল ও তার লোকজন রবিউলের উপর হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করেছেন।

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে ইকবাল ও তার সহযোগীদের দ্বারা নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরেন একই গ্রামের, সেলিম গাজী, নুর আলম, নুর হোসেন ও মো: সুজন। তাদের অভিযোগ, ইকবাল মাহমুদ ও তার সহযোগীদের নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলামকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। থানায় তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আটটি মামলা ও অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করে ভুক্তভোগীরা। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে সখ্যতার কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি। ভুক্তভোগী এসব পরিবার অবিলম্বে ইকবাল মাহমুদকে দল থেকে বহিস্কারসহ তাকে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা ইকবাল মাহমুদ মুঠো ফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সঠিক নয়। এতো অভিযোগ থাকলে তা ভুক্তভোগীরা দলের হাইকমান্ডকে জানাতে পারতো। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

রিভিউয়ের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসা হবে: সিসিক মেয়র

এসএসসির ফলাফলে গোপালগঞ্জ জেলায় তৃতীয় রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ

নড়াইলে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র ও গাভীর মৃত্যু

টানা দ্বিতীয়বার ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন মিরাজুল ইসলাম

সালথায় ১২ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদককারবারি গ্রেপ্তার

সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির মানববন্ধন 

সোনারগাঁয়ে দুই কোটি টাকার ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেপ্তার

এসএসসিতে যশোর বোর্ডে সেরা সাতক্ষীরা

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :