কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এক মাসের আল্টিমেটাম

কর্ণফুলী নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা করার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করেছে ছয়টি পরিবেশ সংগঠন। বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম আয়োজিত এ মানববন্ধন বক্তারা অচিরেই এইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে এক মাসের আল্টিমেটাম দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে। আদালতের নির্দেশে ২২৮৫টি স্থাপনার অবৈধ দখলদারের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন করে কর্ণফুলী দখল করায় এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামে লিখিত অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম ।‘
বক্তারা আরো বলেন, ‘কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর নিচে ও চাক্তাই রাজাখালী এলাকায় দুই তৃতীয়াংশ নদী অবৈধভাবে দখল করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। এই সব এলাকায় কর্ণফুলী নদী খালে রূপান্তিত হয়েছে।’
মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যাপক নোমান সিদ্দিকির সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন, পরিবেশ ফোরামের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল পারভেজ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল, কলামিস্ট আবছার উদ্দিন অলি, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, বাংলাবাজার ইছানগর সাম্পান সমিতির সভাপতি লোকমান দয়াল,বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মহিউদ্দিন স্বপন, সবুজ আন্দোলনের উপদেষ্টা সাদেক,সবুজ আন্দোলনের সমন্বয়ক সাংবাদিক মুজিব উল্লাহ তুষার,সাংবাদিক আমিন ও রিয়াজুর রহমান রিয়াজ এবং অ্যাডভোকেট রাসেল আহম্মদ ভূইয়া।
এছাড়া সমাবেশে অংশ নেওয়া অন্যান্য সংগঠন হলো- সবুজ আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর, ইউএসএন,বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল।
(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/পিএল)

মন্তব্য করুন