গভীর সংকটে ঢাকাই চলচ্চিত্র

বিনোদন প্রতিবেদক
| আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:২৬ | প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৫৫

অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগত। বিগত বছরের হিসাব অনুযায়ী ঈদ ছাড়া তেমন দর্শক পায় না সিনেমা হলগুলো। তার মধ্যে আবার করোনা বদলে দিয়েছে বিগ বাজেটের ছবিগুলোর ভবিষ্যত। অদৃশ্য এই ভাইরাসের কারণে বাক্সবন্দি হয়ে আছে সব ছবি। এক সময়ে দেশে ১৩০০ সিনেমা হল থাকলেও এখন সচল মাত্র ৬২টি। করোনার কারণে এর সংখ্যা কতটা নিচে নামবে, তা নিয়ে সিনেমা সংশ্লিষ্টদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাজ।

ঢাকাই সিনেমায় শিল্পী, গল্পকারসহ নানা সংকট বিদ্যমান। তারপর আবার সাত মাস ধরে বন্ধ সিনেমা হল। যদিও আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল চালুর সিদ্ধান্ত হওয়াতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মালিকদের মধ্যে। কিন্তু মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ছবিগুলোর প্রযোজকরা ঝুঁকি নিয়ে এখনই সিনেমা মুক্তি দিতে চাচ্ছেন না। তারা আগে পরিস্থিতি বুঝবেন তারপর মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। গেল দুই ঈদ ছিল ছবিশূন্য। ইতিহাসে এবারই প্রথম ইদ উৎসবে সিনেমা হল তালাবন্ধ ছিল।

কয়েক বছর আগেও কাকরাইলে ছিল দেশের বেশ কিছু নামি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। বাকিগুলো চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। তারপর আবার করোনা এসেছে বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য অভিশাপ হয়ে। চলতি বছরকে চলচ্চিত্রের বছর ভাবা হলেও সব হিসেব পাল্টে দিয়েছে এই করোনা। সারাদেশে প্রেক্ষাগৃহ কমে যাওয়া থেকে শুরু করে বেশ কিছু কারণে চলচ্চিত্রের আজ এই করুণ দশা।

১৯৭১ সাল থেকে ২০২০, ৪৯ বছরে বার বার সম্ভাবনার দ্বার খুললেও পুরো সাফল্য দেখতে পারেনি ঢাকাই চলচ্চিত্র। এখনো সংকটের মধ্যেই পড়ে আছে। ২০০০ সালের পর চলচ্চিত্রে আসে অশ্লীলতার যুগ। সে সময় থেকে দর্শক হারাতে শুরু করে ঢাকাই ছবি। চলচ্চিত্র নির্মাতারা জানান, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ঢাকাই চলচ্চিত্র প্রথম ধাক্কা খায় ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্যে দিয়ে। এরপর বিভিন্ন সময়ে বার বার ধাক্কা খেয়েছে ইন্ডাস্ট্রি। তবে সব সংকটকে ছাড়িয়ে গেছে ২০২০ সাল।

ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/এলএম/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :