ঘাটাইলে সেই আদিবাসী নারী পাচ্ছেন পাকা ঘর

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারি ২০২১, ২০:৩৮| আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২১, ২০:৪০
অ- অ+

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে গাছে বেঁধে নির্যাতনের শিকার সেই আদিবাসী নারী সন্ধ্যা রানীর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়। এ ছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে সন্ধ্যা রানীকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর বরাদ্দ দিলেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি। সোমবার ডিসি ও এসপি সন্ধ্যা রানীর বাড়ি উপজেলার মালিরচালা গ্রামে যান।

নির্যাতনের ঘটনায় সন্ধ্যা রানীর করা মামলায় আসামিরা সব জামিনে মুক্ত। তাই নিজ বাড়িতে থাকতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন তিনি।

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সেখানে গিয়ে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। সন্ধ্যা রানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ অপরাধীদের সঠিক বিচার করার আশ্বাস দেন তারা।

পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, সন্ধ্যা রানী আজ থেকে তার বাড়িতেই থাকবেন। যে ধরনের নিরাপত্তা তিনি চান, তাকে সে ধরনের নিরাপত্তাই দেওয়া হবে। ফোনে আমরা সব সময় তার খোঁজ-খবর রাখব। সকালে ও বিকালে একবার করে পুলিশ এসে তার সঙ্গে দেখা করবে।

মামলার এজাহারে কোনো দুর্বলতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে সে অনুসারে মামলায় ধারা বসানো হয়েছে। তদন্তে যদি আমরা দেখি এর চেয়েও কঠিন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তবে আমরা পুলিশ প্রতিবেদনে কঠিন ধারা যোগ করে দিতে পারব।

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, যারা অন্যায় করেছে, আইন অনুসারে তাদের বিচার অবশ্যই হবে। আসামিরা আদালতের মাধ্যমে জামিন পেলেও আমাদের পর্যবেক্ষণের বাইরে চলে যায়নি। আমরা জানতে পেরেছি, তার (সন্ধ্যা) ঘরবাড়ি নেই, যা আছে তা বন বিভাগের সম্পত্তি। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রকল্পের একটি পাকা ঘর ৩০ দিনের মধ্যে তাকে দেওয়া হবে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তার অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। আজ সাময়িকভাবে আমার ও পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা তাকে দেওয়া হলো। সরকারি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা তাকে দেওয়া হবে।

এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী তাই জামিনে মুক্ত হয়ে ভুক্তভোগীকে গ্রামছাড়া করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তার এমন বক্তব্যে জেলা প্রশাসক চেয়ারম্যানকে পরিবারটির নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে একটি প্রত্যয়ন দিতে বলেন।

এদিকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে পাশে পেয়ে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় বুক বাঁধেন সন্ধ্যা রানী। তিনি বলেন, আমি শুধু নির্যাতনের উপযুক্ত বিচার চাই।

উল্লেখ্য, গত ৯ জানুয়ারি চোর সন্দেহে আদিবাসী ওই নারীকে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন তারই প্রতিবেশী মনিরুল ভুইয়ার পরিবারের লোকজন। এ সময় তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলে পলাশের কোলে থাকা ছয় মাসের শিশু কান্নাকাটি করলেও তাকে দুধ পান করতে দেয়নি নির্যাতনকারীরা।

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
শাহরুখ খানের পছন্দের খাবার যেভাবে খেলে বশে থাকবে ওজন, জানালেন নিজেই
মঙ্গল গ্রহে প্রাণ নেই কেন? নাসার নতুন গবেষণায় মিলল চমকপ্রদ তথ্য
ভেষজ পেয়ারা ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের মোক্ষম দাওয়াই
বান্দরবানের রুমায় সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ দুইজন নিহত, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা