ভাঙা কালভার্টে চার উপজেলার মানুষের ভোগান্তি
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া-বাঁকড়া সংযোগ সড়কের একমাত্র কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে চার উপজেলার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কের কাঁচাবাজার মোড়ের ওই কালভার্টটি পারাপারে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয়রা জানান, বাগআঁচড়া বাজার শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলার একটি ব্যস্ততম এলাকা। দক্ষিণবঙ্গের বৃহত্তম পশু, তরকারির এবং ফলের বাজার বসে এখানে। স্বনামধন্য বৃহৎ প্রাইমারি স্কুল এবং কলেজও এই বাগআঁচড়ায় রয়েছে। এছাড়াও এলাকার একমাত্র কাঁচাবাজারটি এই সড়কের পাশে অবস্থিত। পার্শ্ববর্তী চার উপজেলার শতাধিক গ্রামের হাজার হাজার জনসাধারণ শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, পণ্য ক্রয়-বিক্রয়সহ নানাবিধ প্রয়োজনে এই বাজারে আসা-যাওয়া করে।এই বাজারের ব্যস্ততম বাগআঁচড়া-বাঁকড়া সড়কটি বেত্রাবতী সড়ক নামে পরিচিত। হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা কালভার্ট পার হয়ে যাতায়াত করছে। এছাড়া ঝিকরগাছা ও মনিরামপুর এই দুইটি উপজেলার জনসাধারণের বিভিন্ন প্রয়োজনে বাগআঁচড়া বাজারে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি।
ফলে হাজার হাজার জনসাধারণ নানা প্রয়োজনে বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ এই ভাঙা কালভার্ট পার হয়ে যাতায়াত করছে এই সড়কে। এতে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
স্থানীয় পথচারী মফিজুর জানান, শিক্ষার্থীদের এ কাঁচা সড়ক ধরেই আশপাশের স্কুল কলেজে আসতে হয়। হাটবাজারে কৃষিপণ্য আনা নেয়া হয় এ পথেই। কালভার্টটির দুপাশের অংশ ভেঙে গেছে। ফলে ভাঙা কালভার্টের উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে মানুষকে। তাছাড়া এ পথে যানচলাচল করছে ঝুঁকির মধ্যেই। কালভার্টটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় কালভার্টের গর্তে হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত সমস্যা সমাধান ও নতুন কালভার্ট নির্মাণে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানান তিনি।
তবে এ বিষয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল দত্ত বলেন, ‘ভাঙা কালভার্টের বিষয়টি এক মাস আগে শোনার পর প্রজেক্টের বাইরে ছিল, এখন সেটা প্রজেক্ট ভুক্ত করছি। পাশাপাশি চেয়ারম্যান সাহেবদের বলে দিয়েছি পাশাপোল করে দিতে। পরবর্তীতে দ্রুত কার্লভার্টটি মেরামত করা হবে।’
(ঢাকাটাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/পিএল)