শাহজাহান সিরাজ না হলে ৩ মার্চ আলোচিত হতো না

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
  প্রকাশিত : ০৩ মার্চ ২০২১, ২০:৩২
অ- অ+

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত ফজলুর রহমান খান ফারুক বলেছেন, আজকের এই অনুষ্ঠান দুটি কারণে আকর্ষণ সৃষ্টি করে। একটি হচ্ছে ৩ মার্চ আরেকটি শাহজাহান সিরাজ। শাহজাহান সিরাজ ও ৩ মার্চ পরস্পর পরস্পরের সমন্বয়ক। শাহজাহান সিরাজ না হলে ৩ মার্চ আলোচিত হতো না। আবার ৩ মার্চ না হলেও শাহজাহান সিরাজ হয়নি। আন্দোলন সংগ্রাম করে করে শাহজাহান সিরাজ হয়েছেন।

বুধবার দুপুরে মহান স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

ফজলুর রহমান খান ফারুক আরো বলেন, আপনারা শাহজাহান সিরাজকে ভালোবাসেন, বাংলাদেশ ভালোবাসেন, স্বাধীনতাকে ভালোবাসেন। শাহজাহান সিরাজসহ ইতিহাসখ্যাত চার খলিফার অবদান স্মরণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে প্রকৃত ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়া আহ্বান জানান।

শাহজাহান সিরাজ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রাবেয়া সিরাজের সভাপতিত্বে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্স’র মাধ্যমে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন- ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা নুর-ই-আলম সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, অন্ধের হস্তী দর্শনের মতো যে যার দৃষ্টিভঙ্গীর মতে স্বাধীনতার ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করেছেন স্বাধীনতার মূল নেতা, স্থপতি ও প্রেরণার জ্বলন্ত উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু; কিন্তু ছাত্রলীগ ছিল তার আদর্শ বাস্তবায়নের মূল চালিকাশক্তি। বঙ্গবন্ধু ইঞ্জিনিয়ার হলে ছাত্রলীগ ছিল রাজমিস্ত্রী।

জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ৩ মার্চ শাহজাহান সিরাজ পঠিত স্বাধীনতার ইশতেহার ৭ মার্চে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিণতি লাভ করে। বেগম রাবেয়া সিরাজ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চার নেতা এবং বিএলএফের চার নেতার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানান।

সাবেক ছাত্রনেতা ও লেখক রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিকারীদের ৩ মার্চ শাহজাহান সিরাজ পঠিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার মনোযোগের সাথে পাঠ করার অনুরোধ করেন। ইশতেহার পাঠের মাধ্যমে বহু বিকৃতি ও বির্তকের অবসান ঘটবে।

বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক কবি আল মুজাহিদী বলেন, শাহজাহান সিরাজ ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছেন।

খন্দকার নাজিম উদ্দিন বলেন, শাহজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠকালে বঙ্গবন্ধুর মৌনতাই এই ইশতেহারের বক্তব্যের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থনকে প্রমাণ করে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য দেন- ভাসানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি খন্দকার নাজিম উদ্দিন, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ (শুক্লা সিরাজ)সহ আরো অনেকে।

শুক্লা সারওয়াত সিরাজ বলেন, ৩ মার্চ শুধু স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের দিন নয়, এটি সেই দিন যে দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ছাত্রজনতা প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে জাতির জনক অভিধায় অভিসিক্ত করে। নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য পাঠ্যসূচিতে ইশতেহার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি।

এছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও বীরমুক্তিযোদ্ধারা আলোচনায় অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন পল্টন ময়দানে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের ডাকা ছাত্র জনসভায় হঠাৎই হাজির হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ সভা থেকে বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। সেদিনই সভা থেকে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের চার নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ, আ স ম আবদুর রব ও আবদুল কুদ্দুস মাখন স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার শপথ গ্রহণ করেন।

(ঢাকাটাইমস/৩মার্চ/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা: ফের অনুসন্ধানে দুদক, মোশাররফের বিরুদ্ধে অনিয়মের তথ্য উদঘাটন
যশোরে ঢালাইয়ের সময় ছাদ ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ নিহত ৩
এক ডিআইজি ও তিন এসপিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত
জুলাইকে সবার গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা