৬৬ বছরের পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
ঝিনাইদহে বৈধ কাগজপত্রের ভিত্তিতে ৬৬ বছর ভোগদখলে থাকা পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে বিশারত আলী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বিশারত হরিণাকুন্ডু উপজেলার পোড়াহাটী গ্রামের মৃত সবদ আলীর ছেলে। এসব জমির পর্চা, দলিল ও দাখিলা থাকার পরও মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ জানান একই উপজেলার চরআড়ুয়াকান্দি গ্রামের মৃত নাজির উদ্দীনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম তাজুল।
তাজুল বলেন, ১৯৫৫ সালে আমার বাবা ডিক্রি করে চার একর ৪৮ শতক জমি পান। এছাড়া আমি ও আমার চাচাতো ভাইয়েরা বিভিন্ন সময় দলিল ও দাখিলামূলে আরো ৩০/৪০ বিঘা জমি কিনেছি। এর মধ্যে আমাদের ৫২/৬৮ নাম্বারের একটি ডিক্রি জাল করেন বিশারত আলী।
তিনি বলেন, একজনের সঙ্গে আরেকজনের জমিজমা নিয়ে কু-পরামর্শ দিয়ে গোলযোগ বাধিয়ে বেড়ান বিশারত। তিনি এক সময় শৈলকুপার দুধসর গ্রামে বসবাস করতেন। সেখানে অপকর্ম করার কারণে ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় সুবিধা করতে না পেরে আবারো তিনি গ্রামে ফিরে এসে আগের মতোই কুকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তার কাজ কর্মে গ্রামবাসী এখন ক্ষিপ্ত ও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
তাজুল বলেন, বিভিন্ন সময় আমাদের কেনা জমি ২০১৪ সালে কাগজপত্র যাচাই করে নামপত্তন করে দেন তৎকালীন হরিণাকুন্ডুর নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আমিন ও এসিল্যান্ড সুমি মজুমদার। অথচ এসব জমি নিয়ে বিশারত আলী সাংবাদিক সম্মেলন করে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা কাহিনী প্রচার করে বেড়াচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পোড়াহাটী গ্রামের মকবুল হোসেন, লুৎফর রহমান, শহিদুল ইসলাম, আলফাজ উদ্দীন, আনোয়ার হোসেন, চর আড়ুয়াকান্দি গ্রামের আজমুল কবীর ও হারু অর রশিদ প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/৯মার্চ/কেএম)