‘বেলা বোস’ গানের জন্য মামলা খেয়েছিলেন অঞ্জন দত্ত, জানুন কারণ

২৭ বছর আগে ১৯৯৪ সালে প্রকাশ হয়েছিল ওপার বাংলার জনপ্রিয় গায়ক অঞ্জন দত্তের জনপ্রিয় গান ‘চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা সত্যি’। যা আজও প্রতিটা মানুষের প্লেলিস্টে বাজতে শোনা যায়। প্রেমে ছেঁকা খাওয়া ছেলে হোক কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়- কারো কাছেই গত ২৭ বছরে একটুও পুরোনো হয়নি গানটি।
ওই গানের জনপ্রিয় লাইন ‘এটা কি ২৪৪১১৩৯, বেলা বোস তুমি পাচ্ছো কি শুনতে’- এই ফোন নম্বর প্রায় সকলেরই মুখস্ত। একবার করে ডায়াল করেও দেখা হয়ে গেছে, নম্বরটা আসলে কার সেটা জানার উদ্দেশে।
অঞ্জন দত্তের ‘বেলা বোস’ গান নিয়ে শ্রোতাদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। বেলা বোস আসলে কে? তাকে ভালোবেসেই কি এই গান লিখেছিলেন অঞ্জন দত্ত? ২৪৪১১৩৯ নম্বরটাই বা কার? কেনই বা এই নম্বর ব্যবহার হল গানে? এমন নানা প্রশ্ন ভিড় করে শ্রোতাদের মনে। তবে অনেকেই জানেন না, এই গানের পর অঞ্জন দত্তের নামে মামলাও করা হয়েছিল।
আসলে, বেলা বোস বলে অঞ্জন দত্তের জীবনে কখনো কেউ ছিলেন না। কেবল কল্পনা শক্তি দিয়ে তৈরি হয়েছিল অনবদ্য এই গানের কথা এবং সুর। তবে গানে ব্যবহৃত ওই সাত সংখ্যার নম্বরটি বাস্তবেই ছিল। এটি ‘দৈনিক বিশ্বামিত্র’ নামে এক হিন্দি সংবাদপত্রের সম্পাদকের বাড়ির ফোন নম্বর ছিল। যা নিছকই কাকতালীয় ভাবে অঞ্জন দত্ত ব্যবহার করে ফেলেছিলেন তার গানে।
ব্যাস, বাঙালির কৌতূহলী স্বভাব যায় কোথায়। সহস্র ফোন গিয়েছিল বেলা বোসের খোঁজে ওই নম্বরে। এরপর সংবাদপত্রের সম্পাদক তার ফোন নম্বর ব্যবহারের জন্য অঞ্জন দত্তের নামে মামলা করেন। এ প্রসঙ্গে অঞ্জন দত্ত জানিয়েছিলেন, ‘গানটি লেখার জন্য দুর্ভাগ্যবশত ওই সম্পাদক আমার নামে মামলা করেন। এই অভিযোগে, আমি তার টেলিফোন নম্বর ব্যবহার করেছি গানে।
যদিও সেই মামলা জিতে যান অঞ্জন দত্ত। তিনি এও জানান, ওই ব্যক্তির কাছে দিনে ৩০০টিরও বেশি ফোন যেত প্রতিদিন। অবশেষে উপায় না দেখে সেই নম্বরটি বাতিল করে তাকে নতুন ফোন কিনে দিয়েছিলেন অঞ্জন দত্ত।
ঢাকাটাইমস/০৩জুন/এএইচ

মন্তব্য করুন