যেসব খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়

মানুষের জীবনে কোষ্ঠকাঠিন্য যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা বংশানুক্রমিক। বিভিন্ন মানসিক অবস্থার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাদ্যাভাস্যের পরিবর্তনের কারণেই অধিকাংশ মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু, তা সাময়িক এবং সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
শারীরিক কসরত কম হলে বা ব্যস্ত জীবনশৈলির কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। উদ্বেগ, অবসাদ বা অন্য আবেগজনিত বিষয়ও এই সমস্যার পিছনে রয়েছে। অবসাদ বা কিছু বিশেষ ধরনের ওষুধ সেবনেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রচুর পানি ও তরল এবং যথেষ্ট আঁশযুক্ত খাবার খান প্রতিদিন । গোটা শস্য, শাকসবজি, ফলমূল যেমন বেল, পেঁপে ইত্যাদি হলো আঁশযুক্ত খাবার।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে মধু খুবই উপকারী। দিনে তিনবার দুই চা চামচ করে মধু খান। আপনি চাইলে এক গ্লাস গরম পানির মধ্যে মধু ও লেবুর রস মিশিয়েও খেতে পারেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এটি পান করুন। কিছু দিনের মধ্যে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
অতিরিক্ত মাংস খাওয়া বা ফাইবার জাতীয় খাবার কম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বীজসহ পেয়ারা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কেটে যেতে পারে।
রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখা ৫-৬ পিস কিশমিশও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে।
ইসবগুলের ভুসি, অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর মতো ঘরোয়া টোটকাও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধানে বেশ কাজে আসে।
লেবুর রস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খুবই কার্যকরী। এক গ্লাস গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস দিয়ে দিন। এর সঙ্গে আধা চা চামচ নুন এবং সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এটা পান করুন। দ্রুত ফল পেতে সন্ধ্যায় আরেকবার পান করুন এই মিশ্রণ। কিছুদিনের মধ্যেই ফল পাবেন।
ক্যাস্টর অয়েল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও খুবই কার্যকরী। সকালে খালি পেটে এক বা দুই চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল খান। আপনি চাইলে ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আপনি পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
আইসক্রিম, চিপস, চিজ, কফি, ব্ল্যাক টি, ফাস্টফুড এবং পিৎজা বা বরফজাত খাবারে ফাইবারের ঘাটতি থাকে। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। চকলেট, ভাজাপোড়া, লাল মাংস (গরু, খাসি ইত্যাদি), চিপস, প্রচুর চিনিযুক্ত বেকারি খাদ্য যেমন কেক, পেস্ট্রি কেক এবং আয়রন ক্যাপসুল, কাঁচাকলা ইত্যাদি কম খাওয়াই ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জগিং, রানিং বা সাইক্লিংয়ের মতো শরীর চর্চায় নিযুক্ত থাকুন।
(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/আরজেড/এজেড)

মন্তব্য করুন