ক্যানসার প্রতিরোধে ডার্ক চকলেটের ম্যাজিক

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট ২০২১, ১২:৫৩

প্রাচীনকাল থেকে চকলেট প্রেমে মজেছে মানুষ। ছোট থেকে বড় সবাই চকলেট পছন্দ করেন। অ্যাজটেক সভ্যতায় চকলেটের উল্লেখ আছে। সেই সময়ের থেকে পাওয়া চকলেটকে স্বর্গীয় খাবার বলে মনে করা হত। জটেক সভ্যতায় কোকো বীজ মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হত। তবে সেই সময় চকলেট নয় বীজ থেকে তৈরি পানীয়ই ধনী মানুষদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকত। আমেরিকা থেকে ইউরোপ, ব্রিটেন, এশিয়াসহ সমস্ত পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে চকলেট। মূলত কোকো গাছের বীজ থেকে চকলেট তৈরি হয়।

বিশ্বের যাবতীয় কোকোর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ উৎপাদন হয় পশ্চিম আফ্রিকায়। ওয়ার্ল্ড কোকো ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায় জানা গেছে, বিশ্বের প্রায় ৫ কোটি মানুষ কোকোজাতীয় খাবারে আসক্ত।

পুষ্টিবিদরা সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ডার্ক চকলেট খেতে পরামর্শ দেন, অবসাদ প্রতিরোধে চকলেটের কোনও জুড়ি নেই। ভিটামিন বি-১২, রাইভোফ্ল্যাভিন, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি পুষ্টিগুণে ভরপুর ডার্ক চকলেট মন ভালো রাখার সঙ্গে সঙ্গে হার্ট ভাল রাখে, ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তবে মাত্রাতিরিক্ত চকলেট খেলে ওজন বাড়ে। যাদের অ্যালার্জি আছে, তাদের চকলেট এড়িয়ে চলা উচিত।

ডার্ক চকলেটের মধ্যে থাকা অন্যান্য পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরে শক্তি সঞ্চয় করে মানসিক দৃঢ়তা বাড়াতে সহায়তা করে। ডার্ক চকলেট অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ডার্ক চকলেটের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভানোল গুলোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ক্যানসারের মতন মারণ রোগ জীবাণু বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে।

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে সঠিক মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার পাশাপাশি নিয়মিত ডার্ক চকলেট খাওয়া যেতে পারে। ডার্ক চকলেটের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদানগুলো মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহকে পরিচালনা করে। যার ফলে হরমোন নির্গত হয় যা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে।

ডার্ক চকলেটের মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদানগুলো শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ডার্ক চকলেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা করোনারি হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

সর্দি-কাশি নিয়ন্ত্রণে ডার্ক চকলেটের মধ্যে থাকা উপাদানগুলো সর্দি কাশির চিকিৎসাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। মূলত কোকোর মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভানল সমৃদ্ধ উপাদানগুলো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে।

ডার্ক চকলেটের মধ্যে প্রচুর ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। তবে একদল গবেষকদের দাবি, ডার্ক চকোলেট নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদনকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যার ফলে রক্তনালীগুলো শিথিল হয়ে পড়ে এবং রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। যদিও এর যথাযথ কোন প্রমাণ নেই।

ডার্ক চকোলেট শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদনকে উৎসাহিত করে যার ফলে রক্তনালী গুলো রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে তোলে এবং রক্তচাপের সমস্যা দূর করে।

ডার্ক চকলেট অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর একটি খাদ্য উপাদান। এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন যথাযথ পরিমাণে রয়েছে, যা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। সবকিছুই এরমধ্যে রয়েছে।

ডার্ক চকলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। ডার্ক চকলেট তৈরির মূল উপাদান কোকোয়া ফ্লাভিনয়েড। যা ত্বককে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।

শরীরের পুষ্টির সব কয়টি উপাদানই যথাযথ পরিমাণে রয়েছে ডার্ক চকলেটে যা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনের সব কিছুই এর মধ্যে রয়েছে। একটি ডার্ক চকলেটের বারে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত চকলেট থাকে, যার মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই কোকো সামগ্রী। দৈনিক একটি চকোলেট বার খাওয়া গেলে তাতে ৬০০ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যাবে।

ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভানলগুলো বয়স্কদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নতি করতে পারে।

ডার্ক চকলেটে থাকা ক্যাটেচিন নামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পদার্থ ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে, যা ক্যানসারের সেল জন্ম নেওয়া থেকে রক্ষা করে।

আমাদের শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। ভালো কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল। ডার্ক চকোলেটের তেঁতো স্বাদ আমাদের শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়।

(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :