গাইবান্ধায় প্রধান শিক্ষককে হুমকি: খতিয়ে দেখবে শিক্ষা অফিস
গাইবান্ধা সদরের মালিবাড়ী বোরহানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে হুমকি, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে বাধা এবং ‘অবৈধ’ অ্যাডহক কমিটির সদস্য মতিয়ার রহমান রানার সদস্য পদের ব্যাপারটি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকিরুল হাসান।
তিনি বলেন, আমরা সব বিষয়ে অবগত হয়েছি। সেখানকার প্রধান শিক্ষকের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করছি আমরা। যদি জমিদাতার ওয়ারিশ হিসেবে মতিউর রহমান রানা সদস্য পদে থাকার মতো বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকে, তবে বিদ্যালয়ের কমিটিতে তার থাকার কোন সুযোগ নেই।
এর আগে বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা পরিষদ মিলনায়নতনে মতিয়ার রহমান রানার দাতা সদস্য পদ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, গাইবান্ধার ব্যানারে একটি সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, গাইবান্ধার সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান বাবু।
তিনি বলেন, ২০ আগস্ট গাইবান্ধা সদরের মালিবাড়ি বোরহানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্যস্বাস্থ্য বিভাগ, গাইবান্ধা কর্তৃক বরাদ্দ ওয়াশ ব্লকের কাজের জন্য র্যাম ভাঙার কাজ শুরু হয়। কাজ শুরুর প্রায় দুই-তিন ঘণ্টা পর বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মতিয়ার রহমান রানা কাজে বাধা দেন এবং বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম-পিয়ন ও কাজে নিয়োজিত শ্রমিককে গালিগালাজ ও হুমকি-ধামকি দেন। রানা বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শাহজাদী হাবিবা সুলতানার মোবাইলে কোন কিছু জানতে না চেয়ে অবাঞ্চিত কথা বলেন ও হুমকি দেন।বিষয়টি প্রধান শিক্ষক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং অনুমতি সাপেক্ষে গত সোমবার আবার কাজের নির্দেশনা দেন। কিন্তু ওই দিন সকালেও প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোন করে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের কথা বলে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন রানার ছোট ভাই রিপন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রধান শিক্ষকের নামে নানা প্রকার মিথ্যা তথ্য পোস্ট করেন।
অবিলম্বে দাতা সদস্যের পদ বাতিলসহ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে বাধা ও প্রধান শিক্ষককে হুমকি দেয়ার বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোড় দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, গাইবান্ধার সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, মালিবাড়ি বোরহানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাসহ শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/এলএ)