ঝিনাইগাতীতে হামলা-আগুন: মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর ২০২১, ১৯:০০

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর উত্তর ভারুয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসী কায়দায় জমি জবরদখল, হামলা ও আগুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার আট দিন পার হতে চললেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ। অন্যদিকে অভিযুক্তরা মামলার বাদী পক্ষকে নানা রকম হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে।

এ ঘটনায় একজন নারীসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে ঝিনাইগাতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতরা হলেন, উত্তর ভারুয়া গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে তোতা মিয়া( ৩৮), আব্দুল কুদ্দুছ (৬৫), আব্দুল কুদ্দুছের স্ত্রী নুর বানু(৫৫)। এ ঘটনায় মৃত আজগর আলীর ছেলে সুরুজ মিয়া (৩৬) বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় ১২ জনকে আসামি করে গত ৪ অক্টোবর একটি অভিযোগ দেন।

বাদীর করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভারুয়া মৌজার ২ একর ৯০ শতক জমি ১৯৮৬ সালে জৈনক হিরা খাতুন, নছিমন, মাহমুদা ও মাহবুবের কাছ থেকে রেজিস্ট্রি দলিলমূলে

আজগর আলী ও তার স্ত্রী শুক্কুরজান বিবির নামে এক একর, কুদ্দুস আলী গংদের নামে এক একর, আজগর আলীর নামে ৪০ শতক এবং আব্দুল আজিজের নামে ৫০ শতক জমি কেনেন।

এরপর থেকে জমি ক্রয়কারীরা উক্ত জমি ভোগ দখল করে আসছেন। ইতিপূর্বে কদর আলী ১৯৬৪ ও ১৯৭২ সালে আরওআর মূলে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া ৫২ শতক জমি নছিমন নেছার কাছে রেজিস্ট্রি মূলে বিক্রি করেন।

কিন্তু কদর আলীর কাছ থেকে জনৈক সোহরাব আলী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ১৯৮৫ সালে আরওআর মূলে উক্ত জমি থেকে ৩৫ শতক জমি কেনন। অথচ উক্ত জমিতে কদর আলীর আর কোনো অংশ অবশিষ্ট ছিল না। সোহরাব আলী তার এ অবৈধ দলিলমূলে গত প্রায় ১২/১৪ বছর ধরে উক্ত জমি বেদখলের একাধিক বার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।

হামলার ঘটনার দিন আব্দুল কুদ্দুস গংরা তাদের জমিতে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেন। তখন সোহরাব আলী গংরা সন্ত্রাসী কায়দায় রামদা, লোহার রড়, লাটি সোটা, ফালা নিয়ে আকস্মিকভাবে আক্রমণ চালিয়ে তোতা মিয়ার পায়ের রগ কাটে, হাত ভাঙে এবং মাথায় ও পিঠে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।

একইভাবে আব্দুল কুদ্দুছের হাত ভেঙে যায় এবং মাথায় জখম হয়। কুদ্দুছের স্ত্রী নুর ভানুর মাথায় কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। সোহরাব আলী গংরা তোতা মিয়ার বসত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় আহতরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও এখন পর্যন্ত সব আসামি অধরা।

অন্যদিকে জামিনে আসা আসামি ও তার আত্মীয় স্বজনরা বাদী পক্ষের লোকজনকে মামলা তুলে নিতে ভয়-ভীতিসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ অবস্থায় বাদীসহ তার আত্মীয়-স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, ১২ আসামির মধ্যে সাত জন আসামি জামিনে আছেন। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার সম্ভব হচ্ছে না। অভিযান অব্যাহত আছে।

(ঢাকাটাইমস/৮অক্টোবর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

রিভিউয়ের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসা হবে: সিসিক মেয়র

এসএসসির ফলাফলে গোপালগঞ্জ জেলায় তৃতীয় রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ

নড়াইলে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র ও গাভীর মৃত্যু

টানা দ্বিতীয়বার ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন মিরাজুল ইসলাম

সালথায় ১২ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদককারবারি গ্রেপ্তার

সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির মানববন্ধন 

সোনারগাঁয়ে দুই কোটি টাকার ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেপ্তার

এসএসসিতে যশোর বোর্ডে সেরা সাতক্ষীরা

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :