লাখ লাখ হাতিয়ে নেওয়া ভুয়া অ্যাডিশনাল এসপি ধরল পুলিশ
জিল্লুর রহমান জেলিন। পরিচয় দিতেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল এসপি)। এই পরিচয়ে করে আসছিলেন একের পর এক প্রতারণা। আসল পুলিশের মতোই তার সঙ্গে রাখতেন পুলিশের র্যাংক ব্যাজ, লোগো ও মনোগ্রামসহ পোশাকি সাজ-সরঞ্জাম।
এই নকল পরিচয় দিয়েই মানুষের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে জেলিন হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তির।
প্রতারিত এক ভুক্তভোগীর মামলার তদন্তে নেমে এই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা টাইমসকে জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের সময় জিল্লুরের কাছ থেকে পুলিশের র্যাংক ব্যাজ, পুলিশের লোগো ও মনোগ্রাম সম্বলিত নেভি ব্লু রংয়ের একটি হাফ হাতা শার্ট ও প্যান্ট, পুলিশের মনোগ্রাম যুক্ত চামড়ার বেল্ট, কালো রংয়ের টিউনিক ক্যাপ, জিল্লুর নামীয় একটি নেইম প্লেট উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, প্রতারক জিল্লুর রহমান ১৯৯৯ সালে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেই নিজেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয় দিতেন। পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
জিল্লুর রহমান পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন বলে মন্তব্য পুলিশ কর্মকর্তাদের। এই প্রতারক নিজেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয় দিলেও তার কাছ থেকে এসপি পদমর্যাদার র্যাংক ব্যাজ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রতারক জিল্লুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয়ে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে শহীদুল ইসলাম নামে একজনের কাছ থেকে প্রায় ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ওই ভুক্তভোগী গতকাল মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্ত শুরু করে সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আজ মোহাম্মদপুর থেকে প্রতারক জিল্লুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকাটাইমস/১২অক্টোবর/এসএস/ইএস