দুই দফায় রিমান্ড শেষে কারাগারে মিল্টন সমাদ্দার
জাল সনদ তৈরি ও মানব পাচার মামলায় দুই দফায় রিমান্ড শেষে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে আব্দুস ছালাম শিকদার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এই জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে মৃত্যু সনদ তৈরি করার অভিযোগে করা মামলায় গত ২ মে মিল্টন সমাদ্দারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ৫ মে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তখন এ মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মানবপাচার আইনে করা আরেক মামলায় মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখান। ওইদিন দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৪ দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে ওঠা সবগুলো অভিযোগই স্বীকার করেছেন মিল্টন। তবে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে মিরপুর থানার আরও এক মামলায় পুনরায় তার রিমান্ড চাওয়া হবে।
রাজধানীর মিরপুর এলাকায় গত ১ মে রাতে অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৯মে/এলএম/কেএম)