অক্টোবরে নির্যাতনের শিকার ১৬০৩ নারী ও শিশু, ধর্ষণ ১০১
গত অক্টোবর মাসে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে এক হাজার ৬০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০১ জন।
মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মহিলা পরিষদ। দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
মহিলা পরিষদের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ধর্ষণের শিকার নারীদের মধ্যে ৪১ জন শিশু। আর দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনজন। এদের মধ্যে চারজন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, দুজন শিশুসহ সাতজনকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে। চারজন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। পাঁচজন শিশুসহ নয়জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। অ্যাসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে তিনজন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে দুজন। ছয়জন শিশু উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে।
১৬ জন শিশুসহ ১৮ জন অপহরণের শিকার ও একজন কন্যাশিশুকে অপহরণচেষ্টা করা হয়েছে। চারজন শিশুসহ পাচারের শিকার হয়েছে ২৯ জন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ছয়জন, যার মধ্যে দুজনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে।
শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ছয়জন শিশুসহ মোট ২৩ জন। বিভিন্ন কারণে ১২ জন কন্যাশিশুসহ ৫১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও পাঁচজন কন্যাশিশুসহ ১৬ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৪ জন কন্যাশিশুসহ ২৮ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
আটজন কন্যাশিশুসহ ১৯ জনের আত্মহত্যা করেছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে সাতজনের। দুজন কন্যাশিশুসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে পাঁচজন।
এসময় সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার নিন্দা জানানো হয়। মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুঃখজনক হলেও শারদীয় দুর্গাপূজায় বিভিন্ন জেলায় ১৮টি মন্দিরে ও পূজা মণ্ডপে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও হতাহতের ঘটনার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। যা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশে অনাকাঙ্ক্ষিত।
(ঢাকাটাইমস/০২নভেম্বর/বিইউ/ডিএম)