নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে ঘোষণার অভিযোগে মেম্বার প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের এক মেম্বার পদ প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগ করেছেন।
নির্বাচনের দিন রাত সাড়ে ১০টায় স্থানীয় সাপ্তাহিক বোয়ালমারী বার্তা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন দাদপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মোরগ প্রতীকের প্রার্থী মো. অলিয়ার মোল্যা।
অভিযোগে জানা যায়, দাদপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভাটদি দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে প্রাথমিক ভোট গণনা শেষ করেন। পরে পোলিং এজেন্টদের জানানো হয় মো. অলিয়ার মোল্যা ওই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য (ওয়ার্ড মেম্বার) পদে মোরগ প্রতীক নিয়ে ২৩৭ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিলন ফকির টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ২১৭ ভোট পেয়েছেন।
আনুষঙ্গিক কাজ শেষে চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা তালিকায় দেখানো হয় অলিয়ার মোল্যা পেয়েছেন ২৩৭ ভোট, আর মিলন ফকির পেয়েছেন ২৪১ ভোট। এ সময় মোরগ প্রতীকের পোলিং এজেন্ট তাছের মোল্যা ভোট পুনঃগননার দাবি জানালেও তার কথায় কর্ণপাত করেনি ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সৌমেন্দ্রনাথ রায়।
তাছের মোল্যা সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন- আমি পুনঃ গণনার দাবি করলেও আমার দাবি রাখেননি প্রিজাইডিং অফিসার। তিনি এ ব্যাপারে উপজেলায় যোগাযোগ করতে বলেন। তাই আমি চুড়ান্ত ফলাফল সিটে স্বাক্ষর না দিয়ে কেন্দ্রের ভোট গণনা কক্ষ থেকে বের হয়ে আসি। সবাইকে বিষয়টি জানালে মোরগ প্রতীকের সমর্থকেরা ওই প্রিজাইডিং অফিসারকে ঘেরাও করে রাখে। পরে জনৈক নারী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে উদ্ধার করে উপজেলায় নিয়ে আসেন।
বক্তব্যের জন্য ওই রাতেই প্রিজাইডিং অফিসার সৌমেন্দ্রনাথ রায়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এবিএম আজমল হোসেন বলেন, কেন্দ্র থেকে যেরকম ফলাফল এসেছে, আমাকে সেরকমই ঘোষণা করতে হবে। তবে ওই প্রার্থীর কোন আপত্তি থাকলে গেজেট প্রকাশের পর তার অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি করবে নির্বাচন কমিশন।
(ঢাকাটাইমস/২৭ডিসেম্বর/এসএ)

মন্তব্য করুন