শেখ হাসিনা বাংলাদেশের হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে এনেছেন: নৌপ্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:৩৮| আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:২৪
অ- অ+

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, একসময় বিএনপি-জামায়াত বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে নষ্ট করে দিয়েছিল। বাংলাদেশের সেই হারানো ঐতিহ্য শেখ হাসিনা তার সততা ও দক্ষতা দিয়ে আবার সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে এনেছেন।

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা হারানো বাংলাদেশকে আবারও সত্য ও সঠিক পথে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হারানো বাংলাদেশকে সত্য এবং সঠিক জায়গায় নিয়ে এসেছেন। বিগত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কল্যাণে সাংবাদিকদের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছেন অন্য কোনো প্রধানমন্ত্রী এভাবে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ায়নি। কোনো কিছু বলার আগে বা দাবি দেওয়ার আগেই তিনি সাংবাদিকদের পাশে থাকেন। সাংবাদিকদের একজন অভিভাবক হিসেবে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংবাদকর্মীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা আজ অলংকারের মতো হয়ে গেছেন। কারণ তাদের সব কথা নেত্রী শুনেন। সাংবাদিকদের দুঃখ কষ্ট অধিকার আদায়ের কথা সাংবাদিকদের বলার আগেই প্রধানমন্ত্রী সেটা বাস্তবায়ন করে দেন, যা অতীতে কোনো সরকার করেনি।

মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের পক্ষে থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা বলেছেন প্রয়োজন হলে এই আইন পরিবর্তন হবে। সাংবাদিকদের কোনো সমস্যা হবে আমরা সেটা চাই না। শেখ হাসিনা হলেন সাংবাদিক বান্ধব সরকার। একটা রাষ্ট্র সুশৃঙ্খলভাবে চলতে হলে আইনের ভিত্তিতেই চলতে হবে। তবে দেশে কোনো অপরাধী আইনের বাইরে থাকবে না।

একজন সাব-এডিটর তার মেধা কাজে লাগিয়ে পাঠকদের সামনে সংবাদ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাব-এডিটররা

সারাদিন-সারারাত কাজ করে। পরিবারেও অনেকে সময় দিতে পারেন না। বাইরে সংগঠন গোছানোর সুযোগ তাদের কমই থাকে। তারপরেও তারা সুন্দর একটা সংগঠন করে যাচ্ছে এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংবাদকর্মীরা ভ্যানগার্ডের মতো ভূমিকা পালন করেছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংবাদিক বন্ধুরা সংবাদের মাধ্যমে পৃথিবীতে মুক্তিযুদ্ধের কথা ছড়িয়ে দিয়েছিল। পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের খবর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকেরা অসামান্য অবদান রেখেছেন। গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। কিন্তু বিগত ৫০ বছরেও আমরা সংবাদকর্মীদের যথাযথ স্থান ও মর্যাদা দিয়ে মসৃণভাবে তুলে ধরতে পারিনি। এটা আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজের বড় দুর্বলতা। স্বাধীনতার পর গণমাধ্যমের কথা কেউ ভাবেননি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তখনই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু যখন গণমাধ্যমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিলেন তখন তাকে হত্যা করা হয়। শুধু সাংবাদিকই নয় সমস্ত বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে তামাশা করেছিল পাকিস্তানিরা। সেজন্য বাংলাদেশের কোনো মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। এটাই নির্মম বাস্তবতা।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আর কেউ পত্রিকায় বঙ্গবন্ধু শব্দটাই লিখতে পারেনি। আর যারা বঙ্গবন্ধু শব্দটি লিখে ছিল তারা পরের দিন অফিসে যেতে পারেনি। বন্দুকের নলের কাছে তারা জিম্মি হয়ে পড়েছিল। আমরা সত্য থেকে সরে গিয়েছিলাম।

সাব-এডিটরস কাউন্সিলের বার্ষিক সাধারণ সভা

সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবুল হাসান হৃদয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন তপুসহ অনেকেই।

(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দিনাজপুরের শালবনে মহাবিপন্ন ‘খুদি খেঁজুর‘ গাছের সন্ধান
মির্জাপুরে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর কালুখালী বাজারে আগুন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা
কোরবানির পশুর হাট সড়কে বসানো যাবে না
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা