ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সক্রিয় ছিনতাই চক্র, গ্রেপ্তার ২৭

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২২, ১৭:০৮ | প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল ২০২২, ১৬:৪৭

পবিত্র রমজান মাসে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে ওঠে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। তারা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় দলবদ্ধভাবে অন্ধকার গলিতে বাসস্ট্যান্ডে নীরিহ মানুষদের টার্গেট করে। এদের কাউকে আবার চেতননাশক নিয়ে অচেতন করে তাদের সবকিছু লুট করে নেয়।

এমন অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।

শনিবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আব্দুর রহমান শুভ, মো. ইয়াছিন আরাফাত জয়, মো. বাবু মিয়া, মো. ফরহাদ, হৃদয় সরকার, আকাশ, মো. জনি খাঁন, মো. রোকন, মো. মেহেদী হাসান ওরফে ইমরান, মো. মনির হোসেন, মো. জুয়েল, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে মাইকেল, মো. আজিম ওরফে গালকাটা আজিম, মো. শাকিল ওরফে লাদেন, ইমন, মো. রাজিব, রাসেল, মিন্টু মিয়া ওরফে বিদ্যুৎ, মো. মাসুদ, মো. তাজুল ইসলাম মামুন, মো. সবুজ, মো. জীবন, মো. রিয়াজুল ইসলাম, মো. মুন্না হাওলাদার, মো. শাকিল হাওলাদার, মো. ফেরদৌস ও মো. আবুল কালাম আজাদ।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত লোহার রড, দা, ছোরা, চাকু, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মলম উদ্ধার করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের ভাষ্য, রমজানের সময় ও যেকোন উৎসব তথা ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আজহার আগে রাজধানীতে ডাকাতি, চুরি ও অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদেরকে প্রতিরোধে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে বিশেষ অভিযানে নেমেছে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ডিবির রমনা ও লালবাগ বিভাগ বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত লালবাগ, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানে ছিনতাইকারী চক্রের ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মাহবুব আলম বলেন, গ্রেপ্তার ২৭ জন দলবদ্ধভাবে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড, অন্ধকার গলিতে অবস্থান করে যেকোন ব্যক্তিকে টার্গেট করে। তারা আবার কখনো কখনো যাত্রীবেশে বাসে উঠে পড়ে। সুবিধামতো সময়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে সুকৌশলে চেতনানাশক প্রয়োগ করে। ওই যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।

ডিএমপির এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের কয়েকটি ঘটনার তদন্তে নেমে এ চক্রগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়। পরে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ২০ জনের বিরুদ্ধে চুরি, দস্যুতা, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৯এপ্রিল/এএ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :