প্রাকৃতিক ওষুধে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা উত্তর কোরিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২০ মে ২০২২, ১৮:২৯
অ- অ+

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। ২০২০ সালের শুরুতে দেশটি তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। মিত্রদেশগুলো করোনার টিকা সরবরাহ করতে চাইলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছিল দেশটির শীর্ষ নেতৃত্ব।

বর্তমানে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো করোনার চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতার কারণে প্রাকৃতিক উপায়ে করোনার বিভিন্ন চিকিৎসার পরামর্শ দিচ্ছে।

গরম পানীয়

করোনায় যেসব নাগরিক গুরুতর অসুস্থ না তাদেরকে আদা কিংবা হানিসাকল চা এবং উইলো পাতা মেশানো পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্র রোদং সিমনান।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এক কলামে তিনি লিখেন, গরম পানীয় গলাব্যথা ও কাশির মতো কিছু কোভিড উপসর্গ সারাতে পারে। এর মধ্য দিয়ে পানিশূন্যতাও ঠেকানো যায়। আদা ও উইলো পাতা শরীরের প্রদাহ বন্ধে কাজ করে এবংব্যথা কমায়। তবে এগুলোর মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করা যায় না।

লবণপানি

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করা ও নাক ধোয়ার মধ্য দিয়ে সাধারণ ঠান্ডার জন্য দায়ী ভাইরাস মোকাবিলা করা যায়। তবে এর মধ্য দিয়ে করোনার কার্যকর চিকিৎসা হয় না।

সম্প্রতি, দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এক দম্পতির সাক্ষাৎকার নিয়েছে। ওই দম্পতি সকালে ও রাতে লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করার পরামর্শ দিয়েছেন।

গরগরার মধ্য দিয়ে মানবশরীরে করোনাভাইরাসের শুধু একটি প্রবেশপথকেই ঠেকানো যায়। কারণ শরীরে একবার করোনাভাইরাস প্রবেশ করতে পারলে তা বিভিন্ন অঙ্গের গভীরে চলে যেতে থাকে। তাতে গড়গড়া আর কোনো কাজে আসে না।

এক প্রতিবেদনে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, ‘অ্যান্টিসেপটিক সল্যুশন তৈরি করতে পিয়ংইংয়ে হাজারো টন লবণ পাঠানো হয়েছে।’

ব্যথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক

করোনার চিকিৎসায় ইবুপ্রফেনের মতো ব্যথানাশক ও অ্যামোক্সাসিলিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে।

বিজ্ঞানীদের মতে, ইবুপ্রফেন (এবং প্যারাসিটামল) শরীরের তাপমাত্রা কমায় এবং মাথাব্যতা ও গলাবথ্যার মতো উপসর্গগুলো কমাতে পারে। তবে এসব ওষুধ ভাইরাসকে ধ্বংস কিংবা প্রতিরোধ করতে পারে না।

অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ অ্যাজিথ্রোমাইসিন নিয়ে চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিডের উপসর্গ মোকাবিলা, হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুরোধে এর ভূমিকা নগণ্য কিংবা একেবারেই নেই।

আন্তর্জাতিক সহায়তা

দুই বছর আগে বিশ্বে করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়লে দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও তা গ্রহণ করেনি দেশটির অধিকাংশ জনগণ। এক্ষেত্রে সরকারের ভুল নীতিকে দায়ী করেছেন বিশ্লেষকরা।

গত বছর চীনের তৈরি ৩০ লাখ ডোজ করোনার টিকা ফিরিয়ে দেয় দেশটি। এ ছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার টিকা সরবরাহের প্রস্তাব দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করে তারা।

সম্প্রতি চীনের শেনইয়াং থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম নিতে তিনটি বিমান পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

তবে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মহামারি প্রতিরোধে কোনো সরঞ্জাম নিচ্ছে না উত্তর কোরিয়া। তবে করোনার নিয়ন্ত্রণে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত তারা।

(ঢাকাটাইমস/২০মে/আরআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
টাঙ্গাইলে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৩
এয়ারপোর্টে অশ্রুসিক্ত নোরা ফাতেহি, প্রিয়জন হারিয়ে ভেঙে পড়লেন অভিনেত্রী?
আমরা আশাবাদী, নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ সঠিক পথে এগোবে: মির্জা ফখরুল
পঞ্চগড়ে দেড় বছর বয়সী সন্তানের গলায় ছুরি ধরে মাকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা