বাংলাদেশে ৫-৬ লাখ টন গম রপ্তানির সংকেত দিল ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৭ মে ২০২২, ২০:০৭| আপডেট : ২৭ মে ২০২২, ২১:১২
অ- অ+

নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ লাখ টন গম রপ্তানির ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত। দেশটির বাণিজ্য সূত্রের বরাত দিয়ে তথ্যটি জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম দ্য ইকোনমিকস টাইমস। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল সুইজারল্যান্ডের দাভোস থেকে দেশে ফিরলে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

দ্য ইকোনমিকস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মুদ্রাস্ফিতি ও অভ্যন্তরীণ সরবরাহের চাপ কমাতে গত ১৩ মে গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কেন্দ্র সরকার। তবে চুক্তির অধীনে ঋণপত্র (এলসি) খুলে চালান ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই ছাড়ের অধীনে চালানের ছাড়পত্র পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে যেসব সংস্থা রপ্তানির উদ্যোগ নিয়ে ঋণপত্র (এলসি) খুলেছিল, তাদের রপ্তানির সুযোগ এবং প্রতিবেশী দেশগুলোকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।

বৈদেশিক বাণিজ্যের মহাপরিচালক (ডিজিএফটি) ১৩ মে বা তার আগের জারি করা এলসিসমূহ যাচাই করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে একটি ফাইল জমা দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ টন গম রপ্তানির অনুমোদন চেয়েছেন ডিজিএফটি। এর মধ্য থেকে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টন গম বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে এক রপ্তানিকারক জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে প্রধানত সড়ক ও রেলপথে গম আসবে। তবে কিছু পরিমাণ গম সমুদ্রপথেও আসতে পারে।

বাণিজ্য সূত্র জানায়, গত ১৩ মে পর্যন্ত বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য ২৫০ টির বেশি রেলওয়ে ইন্ডেন্ট বুক করা হয়েছিল। প্রতিটি রেকে ২ হাজার ৪৫০ টন পরিমাণের গম বোঝাই ছিল যা সব মিলিয়ে প্রায় ৬ লাখ টনের মতো। ১৩ তারিখের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে গম বোঝাই করা দশটি রেলওয়ে রেক এখনো আটকে রয়েছে।

তবে কলকাতার রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ওয়্যারহাউসে চালের মজুত থাকায় গম রাখার জায়গার সঙ্কট। এ কারণে আপাতত ভারত থেকে গম আমদানি করতে বিশেষ উৎসাহী নয় বাংলাদেশ সরকার। আগে মজুতকৃত চাল বিক্রি করে সেই জায়গায় আমদানি করা গম মজুত করতে চাচ্ছে সরকার।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ট্রেলিয়ার একটি চালান খালাস করা হয়েছে। তবে অন্য দেশের তুলনায় দাম কম হওয়ায় ভারতীয় গম আমদানীতে বেশি আগ্রহী দেশের ব্যবসায়ীরা।

অল ইন্ডিয়া রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিভি কৃষ্ণা রাও বলেন, ভারতে কয়েকটি রাজ্যে কেবল এক মৌসুমেই গমের চাষ হয়। বিপরীতে বছরে তিনবার চাল জন্মে। স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের কাছে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বিশ্ববাজারেও চালের কোনো ঘাটতি বা মূল্যস্ফীতি নেই।

(ঢাকাটাইমস/২৭মে/এসএটি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ঝিনাইদহে সাপ নিয়ে খেলতে গিয়ে প্রাণ গেল কিশোরের
হলি আর্টিজানের ঘটনায় ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপন হয়েছে : মুখপাত্র
নোবিপ্রবিতে ছাত্রী হলে পুরুষ স্টাফ দিয়ে রুমে তল্লাশি, বিক্ষোভ
এনআরবিসি ব্যাংকের অডিট কমিটির সভা অনুষ্ঠিত 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা