বন্যায় ডুবেছে ঘরবাড়ি, আশ্রয়কেন্দ্রে গবাদিপশুর সঙ্গে মানুষের বসবাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, হবিগঞ্জ
| আপডেট : ২২ জুন ২০২২, ২০:০৯ | প্রকাশিত : ২২ জুন ২০২২, ২০:০১

পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার চারপাশ এখন প্লাবিত। এখানকার এমন কোনো গ্রাম নেই, যেখানে বন্যার পানি নেই। উপজেলার কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আর এতে করেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। এদিকে বিপুলসংখ্যক মানুষকে আশ্রয় দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে।

বানভাসি মানুষের জন্য উপজেলায় ৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। অনেক জায়গায় গবাদিপশু আর মানুষকে একই সঙ্গে বসবাস করতে হচ্ছে। আবার অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্রগুলো বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। এভাবেই তিন দিন ধরে বসবাস করছেন হাজারো মানুষ। তবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে সরকারের খাদ্যসহায়তা পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন অনেকে।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা সালেহা সুমী বলেন, প্রতিদিন পানি বাড়ছে। সঙ্গে বানভাসি মানুষের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে।

৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরেও অনেক পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সব আশ্রয়কেন্দ্রে সরকারি ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব না হলেও শুধু পৌর এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রগুলোতে সরকারের খাদ্যসহায়তা গতকাল মঙ্গলবার পৌঁছানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি কেন্দ্রগুলোতেও পৌঁছে দেওয়া হবে।

উপজেলার উত্তর-পূর্ব দিক দিয়ে বয়ে গেছে কুশিয়ারা নদী। সিলেটের বন্যার পানি নেমে আসায় আজমিরীগঞ্জে বন্যার পানি বেড়েছে। গত শনিবার থেকে এই নদীর পানি উপজেলাকে প্লাবিত করে। তিন দিন ধরে দুই-তিন সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে।

আজমিরীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা জানান, বানভাসি মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই অনুপাতে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা কম। আশ্রয়কেন্দ্র বাড়ানো এবং অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্যসহায়তা পৌঁছানো এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।

গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, শিবপাশা এলাকায় আধা কিলোমিটার রাস্তা প্রায় এক ফুট পানির নিচে চলে গেছে। জলসুখা হয়ে আজমিরীগঞ্জ যাওয়ার রাস্তাও অনেকটা ডুবু ডুবু। হবিগঞ্জ জেলা সদর থেকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সদরে যাওয়ার সড়কের দুই পাশে পানি আর পানি। সড়কের দুই পাশে দেখা গেছে অসংখ্য পরিবার ধানের খর দিয়ে এক চালাঘর তৈরি করে তাতে আশ্রয় নিয়েছে। অনেক পরিবারকে দেখা গেছে রাস্তায় রান্নার কাজ সেরে নিচ্ছে।

জলসুখা সড়কের পাশে দক্ষিণ পাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের চারপাশে ২ থেকে ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে আছে। প্রায় ২০০ বানভাসি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে এখানে আশ্রয় নিতে এসে তাঁরাও পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সেখানে আশ্রয় নেওয়া খালেদা আকতার বলেন, হঠাৎ পানি বাড়ায় তার ঘরে পানি ওঠে। তাই সেখানে ঠাঁই নিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২২জুন/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :