সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের সেই রাব্বানীকে তুলোধুনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৮ জুন ২০২২, ২০:৩৫| আপডেট : ২৮ জুন ২০২২, ২২:০২
অ- অ+

বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান গোলাম রাব্বানী। পদে থাকাকালে নানান অপকর্মে জড়ানোরও অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। এবার ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ছবি নিয়ে আবার সমালোচনায় পড়েছেন রাব্বানী।

রবিবার পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে টিকটকের অভিযোগে গ্রেপ্তার বায়েজিদ তালহার সঙ্গে রাব্বানীর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর তাকে নিয়ে শুরু হয় নানান আলোচনা-সমালোচনা। তবে রাব্বানীর দাবি, তিনি বায়েজিদ নামের ওই যুবককে চেনেন না।

এদিকে বায়েজিদ-রাব্বানীর ভাইরাল ছবিতে অনেকে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। রাব্বানীর উদ্দেশে মিজান শামীম নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি ঠিক বলেছেন, তবে আকাম করে যেইটাই ধরা খায় সেইটার সাথেই আপনার ছবি পাওয়া যায় কেন?’

মোহাম্মদ আজহার নামের একজন লিখেছেন, ‘রাব্বানী নির্বোধ চোরের দলের সর্দার।’ মো. মিফাত উদ্দিন লিখেছেন, ‘বিএনপির পোলার লগে তুমি ছবি তুলছো, তার মানে তুমি ধান্ধাবাজ।’

বায়েজিদ-রাব্বানীর ছবিতে তারেক নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘দেখলা ভাই রাব্বানী কেমনে পল্টি মারলো।’

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে রাব্বানীকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। সেসময় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। তখনকার সভাপতি রেজুওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বায়েজিদের সঙ্গে রাব্বানীর ছবি ও ফেসবুকে তা ভাইরাল হওয়া নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতির সঙ্গে কথা হয় ঢাকাটাইমসের। রাব্বানীর বক্তব্যকে ভিত্তি করে ঢাকাটাইমসে ‘ছবি থাকতেই পারে, বায়েজিদকে চিনি না’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় গতকাল।

ঢাকাটাইমসের ফেসবুক পেজে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর মন্তব্য এমন- ‘চিনবা কেমন করে, তুমি তো চুরি করে আন্তর্জাতিক নেতা হয়ে গেছো।’

আর ফরিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘চোরে চোরে ভাই, রাব্বানী সেই। বড় ভাই, আপনার চেনার কথাও না, কারণ আপনি নিজেও ছাত্রলীগ থেকে একজন বহিষ্কৃত লোক।’

যানচলাচল শুরুর দিনে সেতুর নাট-বল্টু খুলে টিকটক করেন বায়েজিদ তালহা নামের এক যুবক। এ ভিডিও ভাইরাল হলে শুরু হয় সমালোচনা। তাকে ধরতে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই দিন বিকালে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। পরে তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়।

বায়েজিদকে আদালতে তোলা হলে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. সালেহুজ্জামান। বর্তমানে বায়েজিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীকে রিমান্ডে নেওয়ার দাবি করে মনির হোসেন নামের একজন মন্তব্য করেন, ‘গোলাম রাব্বানীকেও রিমান্ডে নেওয়া হোক। কারণ ওর সঙ্গে ছবি উঠেছে তা রাব্বানী নিজেই জানে না, মিথ্যা কথা বলেছে।’

রানা নামের একজন ব্যবহারকারী রাব্বানীকে ‘পল্টিবাজ নেতা’ বলে মন্তব্য করে লিখেন, ‘সরকার তাকে অপসারণ করে খারাপ কিছু করেনি।’

জুলফিকার রহমান নামের একজন চ্যালেঞ্জ করে বসেছেন রাব্বানীর সঙ্গে। লিখেছেন, ‘ভাইরাল হওয়া ছবি কোনো অনুষ্ঠান বা আলোচনা সভার নয়, এটা একান্তই একটি রুমের ছবি। আপনি লুঙ্গি পরে ছবি দিয়েছেন। আপনার মিথ্যা বলার কোনো সুযোগ নেই রাব্বানী ভাই।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্যের কড়া জবাব দেন রাব্বানী। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ওই ছেলেকে (বায়েজিদ তালহা) চিনিও না। আর চার বছর আগের একটা ছবি নিয়ে যারা এসব মন্তব্য করছে তারা মানসিকভাবে অসুস্থ বলে মনে হয়। আমি রাজনীতি করি। আমার সঙ্গে হাজার হাজার না লাখ লাখ মানুষ ছবি তোলে। তাদের কেউ অপরাধ করলে তো আমি দায়ী না।’

(ঢাকাটাইমস/২৮মে/এসএস/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রে দুই শিক্ষার্থী 
স্পেনে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেলেন লিভারপুল তারকা দিয়োগো জোতা
নির্বাচন সামনে রেখে টেলিকম নীতিমালা প্রণয়ন সমীচীন নয়: মির্জা ফখরুল 
Navigating Complexity: The Role of Chaos Theory in Management Education
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা