ইভ্যালির রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আরেক মামলা
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকার আদালতে আরও একটি মামলা হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক গ্রাহক রবিবার এ মামলার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক ধানমন্ডি থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। পরে ওই টাকা ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট করেন। ওই সব পণ্য বাদীকে সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় ইভ্যালি। পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় ইভ্যালি গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ৫টি চেকের মাধ্যমে বাদীকে ওই টাকা দেয়। ২২ সেপ্টেম্বর হেমায়েতপুর শাখায় ইউনাইটেড ব্যাংক লি. এ চেকটি উপস্থাপন করলে চারটি এবং ১০ নভেম্বর আরেকটি চেক ডিজঅনার হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, পরে জান্নাতুল ফেরদৌস বিষয়টি ইভ্যালিকে অবহিত করলে ইভ্যালি মৌখিকভাবে জানায়, তারা বাদীর টাকা পরিশোধ করে দেবে। কিন্তু পরবর্তী ৬ মাসেও তা শোধ করেনি। সর্বশেষ গত ১৯ জুন বাদী ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসে গেলে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা জানান তাকে আর কোনো টাকা দেয়া না। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন বাদী।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতারণার অভিযোগে আরিফ বাকের নামের একজন গ্রাহক গুলশান থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা দায়ের পরদিন বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাদের বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়। সবগুলো মামলায় জামিন পেয়ে গত ৬ এপ্রিল কারামুক্ত হন শামীমা নাসরিন। তবে জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় কারাগারেই রয়েছেন রাসেল।
ঢাকাটাইমস/০৩জুলাই/ইএস