সাংবাদিক রুবেল হত্যা পূর্বপরিকল্পিত, দাবি পরিবারের

কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের (৩১) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পূর্বপরিকল্পিতভাবে কেউ তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি নিহতের পরিবারের। এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি তারা।
এদিকে কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি।
বৃহস্পতিবার বিকালে ৫টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব চত্বর থেকে বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে সমাবেশ করে।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সহ-সভাপতি মীর আল আরেফিন বাবু, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ।
দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কুমারখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেবাড়িয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়া ব্রিজের (নির্মাণাধীন) নিচে গড়াই নদী থেকে হাসিবুর রহমান রুবেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রুবেল কুষ্টিয়া জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এ-ব্লক এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই মাহবুর রহমান বলেন, আমার ভাই খুব ভালো মানুষ ছিল। তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি কাঁচামালের আড়তদারি করতেন। একজন পরোপকারী ছিলেন। আমার ভাইকে কে বা কারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
নিহতের চাচা মিজানুর রহমান মেজর বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ নেই। তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতা চাই, আমরা মামলা করব। তদন্ত করে আসল ঘটনা বের করে আনবে পুলিশ। হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই হাসিবুর রহমান রুবেল রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়ে তার পত্রিকা অফিসে থাকা অবস্থায় মোবাইলে একটি কল আসে। এ সময় তিনি অফিস পিয়নকে বাইরে থেকে আসছি বলে বের হন। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার জিডি করে তার পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রিজের নিচে নদীতে মরদেহ ভেসে ওঠে। পরনের জামা-কাপড়, মানিব্যাগে থাকা পরিচয়পত্র দেখে তার পরিবারের লোকজন মরদেহ শনাক্ত করেন।
(ঢাকাটাইমস/০৭জুলাই/এলএ)

মন্তব্য করুন