কোরবানির মাংস বণ্টনের নিয়ম

ইসলাম ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১০ জুলাই ২০২২, ০৯:০৯
অ- অ+

শুধু আত্মত্যাগই নয় বরং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও কোরবানি। কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আদম (আ.) থেকে শুরু করে সব নবীর যুগেই কোরবানি পালিত হয়েছে। এটি ‘শাআইরে ইসলাম’ তথা ইসলামের প্রতীকী বিধানাবলির অন্তর্ভুক্ত। সামর্থ্যবান পুরুষ-নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব।

কোরবানির মাধ্যমে ইসলামের নিজস্ব প্রতীকের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এর মাধ্যমে গরিব-দুখী ও পাড়া-প্রতিবেশীর আপ্যায়নেরও ব্যবস্থা হয়।

আল্লাহ ও তার রাসূলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কোরবানিতে। নবীজীকে আল্লাহতাআলা নির্দেশ দিয়েছেন- আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।' (সুরা কাওসার:২)

অন্য আয়াতে এসেছে- (হে রাসূল!) আপনি বলুন, আমার নামায, আমার কুরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ রাব্বুল আলামিনের জন্য উৎসর্গিত। (সুরা আনআম: ১৬২)।

কোরবানির মাংস ভাগ করার নিয়ম

কোরবানির গোশত কতটুকু খাওয়া যাবে, কতটুকু হাদিয়া দেওয়া হবে এবং কতটুকু সদকা করা হবে এ ব্যাপারে আলেমগণ মতভেদ করেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য অভিমত হচ্ছে- এক তৃতীয়াংশ খাওয়া, এক তৃতীয়াংশ হাদিয়া দেওয়া এবং এক তৃতীয়াংশ সদকা করা। যে অংশটুকু খাওয়া জায়েজ সে অংশটুকু সংরক্ষণ করে রাখাও জায়েজ।

আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুঃস্থ অভাবীকে আহার করাও।’ সূরা হাজ্জ, আয়াত: ২৮] আল্লাহ্‌ আরও বলেন: ‘তখন তোমরা তা থেকে খাও এবং আহার করাও এমন দরিদ্রকে যে ভিক্ষা করে এবং এমন দরিদ্রকে যে ভিক্ষা করে না। এভাবে আমরা সেগুলোকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর”।[সূরা হাজ্জ, আয়াত: ৩৬]

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোরবানির গোশত একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, একভাগ গরিব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ গরিব-মিসকিনদের দিতেন।

এছাড়া ইবন মাসঊদ (রা.) কোরবানির গোশত তিনভাগ করে একভাগ নিজেরা খেতেন, একভাগ যাকে চাইতেন তাকে খাওয়াতেন এবং একভাগ ফকির-মিসকিনকে দিতেন বলে উল্লেখ রয়েছে।

কোরবানির মাংস আত্মীয় ও গরিবদের মাঝে বিতরণ না করাটা খুবই গর্হিত কাজ। এতে কৃপণতা প্রকাশ পায়। কারণ কোরবানির মাধ্যমে কোরবানিদাতা অহংকার থেকে নিরাপদ থাকেন এবং তার অন্তর পরিশুদ্ধ থাকে।

আল্লাহ বলেন, (মনে রেখো, কোরবানির জন্তুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনই পৌঁছে না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। (সূরা হজ: ৩৭)।

ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে তুলে নিল কারা?
সালথায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
এক দফা দাবিতে নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
আইএমএফের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১.৩ বিলিয়ন ডলার মিলবে জুনে 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা