শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের দাফন সম্পন্ন

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২২, ১৫:২২ | প্রকাশিত : ১৫ আগস্ট ২০২২, ১৫:০৯

নাটোরের খুবজীপুর এম হক কলেজের শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রবিবার এশার নামাজের আগে বাবার বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার খামার নাচকৈড় গ্রামে জানাজা শেষে খামার নাচকৈড় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

গুরুদাসপুরের পৌর কাউন্সিলর শেখ সবুজ জানান, শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের বাবার বাড়ি খামার নাচকৈড় এলাকায়। এশার নামাজের আগে আবু বকর সিদ্দিকী কওমী মাদ্রাসা মাঠে তার জানাজা সম্পন্ন হয়।

নাটোর সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য আলামত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

নাটোর সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, রবিবার বিকালে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। ওই সময় মরদেহের গলায় একটি দাগ ছাড়া অন্য কোনো জখম বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বগুড়া সিআইডির একটি টিম। এ ঘটনায় শিক্ষিকার স্বামী মামুনকে পুলিশ আটক করে।

পরে নাটোর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে।

তার স্বামী মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

এর আগে এক ছেলের জননী খায়রুন নাহারের ডিভোর্স হয়েছিল আগের স্বামীর সঙ্গে। পরে ছয় মাসের প্রেমের পর গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে মামুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাস পর গত জুলাই মাসে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরপর রবিবার ভোরে ভাড়া বাসা থেকে খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই মৃত্যুর জন্য স্বামী মামুনকে দায়ী করছেন শিক্ষিকার পরিবারের লোকজন।

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :