ওমিক্রনের নতুন দুই উপধরনে বাড়ছে করোনা, কারিগরি কমিটির ৫ সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:৪২
অ- অ+

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের হার ফের বাড়ছে। রবিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় নতুন রোগী ৫২৭ জন। হঠাৎ করে করোনা আক্রান্ত বাড়ার পেছনে ওমিক্রনের নতুন দুটি ধরনের দায় দেখছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র—আইসিডিডিআর’বি।

রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫২৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এসময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। শনাক্তের হার ১২.৭২ শতাংশ। যা আগেরদিন ছিল ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। তার আগের দিন এই হার ছিল ১০ দশমকি ৮৭ শতাংশ।

এদিকে আইসিডিডিআর’বির ওয়েবসাইটে জানানো হয়, দেশে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের নতুন দুই সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসটির এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য এই দুই সাব-ভ্যারিয়েন্ট দায়ী।

আইসিডিডিআর’বি বলছে, করোনার গতি-প্রকৃতি নির্ণয়ে গত ২৩ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৮টি জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে। ঢাকায় ওমিক্রনের দুটি নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। জিনোম সিকোয়েন্সে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে ২৬টি ওমিক্রন বিএ.৫ এবং ১২টি ওমিক্রন বিএ.২ সাব-ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

ওয়েবসাইটের তথ্যে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ঢাকাসহ সারা দেশে ওমিক্রনের বিএ.৫ সাব-ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ছিল। কিন্তু গত তিন সপ্তাহে তা বিএ.৫ থেকে বিএ.২-তে স্থানান্তরিত হয়েছে, যা একটি বড় পরিবর্তন। একই সময়ে বিএ.২.৭৫ ও বিজে.১ (যা মূলত বিএ.২ থেকে উৎপন্ন হয়েছে) নামের নতুন দুটি সাব ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

অপরদিকে, ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভসের (আইডিইএসএইচআই) এক প্রতিবেদনেও একই চিত্র উঠে এসেছে।

দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্ত হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। তার পর থেকে এই হার ওঠানামা করলেও তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর থেকে করোনার প্রকোপ বেড়ে শুক্রবার তা ছাপিয়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে পৌঁছায়।

৫ সুপারিশ কারিগরি কমিটির:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পর পর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পাঁচ দফা সুপারিশ করেছেন কারিগরি কমিটির সদস্যরা।

সব ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের করোনার টিকা যারা নেননি, তাদের টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

বদ্ধ স্থানে সভা করা থেকে বিরত থাকা ও দাপ্তরিক সভাগুলো যথাসম্ভব ভার্চুয়ালি করার সুপারিশ করেছে কমিটি। অপরিহার্য সামাজিক অনুষ্ঠান বা সভায় মাস্ক পরার সুপারিশ করা হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ নিতেও সরকারকে বলেছে কমিটি।

(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/আরকেএইচ/ডিএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কুমিল্লার সাবেক এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহর এপিএস আব্দুল কাদের ঢাকায় গ্রেপ্তার 
ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে ছাত্র-জনতার অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ
নোয়াখালীতে আ. লীগের দুই নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৫
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা