ইরানে হিজাববিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৫০ জন নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:০৪ | প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫১

ইরানে হিজাব ইস্যুতে পুলিশি হেফাজতে মাহশা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন।

ইরানের মানবাধিকার সংগঠন (আইএইচআর) এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। যদিও দেশটির সরকারি তথ্য মতে, বিক্ষোভে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনিকে হিজাব আইন ভঙ্গের অভিযোগে আটক করে দেশটির মোরালিটি পুলিশ। তারপর তাকে পুলিশের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়। গত শুক্রবার তিন দিন কোমায় থাকার পরে মৃত্যুবরণ করেন মাহশা আমিনি।

পুলিশের দাবি, মাহশা আমিনি হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, পুলিশের ভ্যানে তোলার সময় মাহশা আমিনিকে নির্যাতন করা হয়। একারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে দেশটির ৮০টি শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হচ্ছে। বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাদের গুলিতে প্রতিদিন হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কুর্দিস্তানে মাহশা আমিনির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার জানাজা শেষ হওয়ার পরে কিছু মানুষ চলে যায়, আর কিছু মানুষ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। তারপর তারা গভর্নর অফিসের সামনে জড়ো হয়। সেখানেও তারা সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। তখন নিরাপত্তা রক্ষীরা টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সেখান থেকেই দেশজুড়ে হিজাবের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।

ইরানের সরকার বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির নেটওয়ার্ক কার্যক্রম ধীরগতি করে দেওয়া হয়েছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহারেও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভের তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিক্ষোভের মধ্যেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর হিজাব ছাড়া ফেসবুকে ভিডিও আপলোডের অভিযোগে দেশটির মানবাধিকারকর্মী মেলিকা কারাগোজলুকে পৌনে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লব হওয়ার পর থেকে নারীদের জন্য হিজাব পরিধান বাধ্যতামূলক। দেশটির মোরাল পুলিশ এই ড্রেস কোড কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করে।

কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ড্রেস কোডের নিয়ম বাস্তবায়নে বিভিন্ন মানুষ বিশেষত তরুণীদের সঙ্গে মোরাল পুলিশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকে ঘিরে কড়া প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরা অনেক সময় জোর করে নারীদেরকে পুলিশের গাড়িতে তোলে।

২০১৭ সালে কয়েক ডজন নারী জনসম্মুখে হিজাব খুলে প্রতিবাদ জানান। তখন কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

(ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/আরআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে নিজের গায়ে আগুন দিলেন এক ব্যক্তি

নাসরুল্লাহর ‘উত্তরসূরির’ সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছে হিজবুল্লাহ

বৈরুতে বোমা হামলা, গাজার মসজিদে হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজার ৭৯ শতাংশ মসজিদ ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল

আমাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই: লেবাননের প্রবাসী গৃহকর্মী

লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে

ছত্তীসগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩৬ মাওবাদী নিহত

৯ বছর পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন, নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন

ইসরায়েলে হামাস ও ইরানের হামলা ‘বৈধ’: আয়াতুল্লাহ খামেনি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :